এগ্রিনিউজ২৪.কম ডেস্ক: ডিম ও মাংস উৎপাদনে বাংলাদেশ যখন স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে রপ্তানির স্বপ্ন দেখছেন দেশীয় উদ্যোক্তার তখন ভারত থেকে ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি চেয়েছে গোপালগঞ্জ ভিত্তিক ট্রেডিং হাউস, মুন্সী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। আমদানি নীতিমালায় আমদানির অনুমতি চেয়ে এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠিও পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা।
জানা যায়, চিঠিতে মুন্সী এন্টারপ্রাইজ যুক্তি দেখিয়েছে যে, তারা স্থানীয় বাজারে ডিমের বর্ধিত মূল্য স্থিতিশীল করতে ডিম আমদানি করতে চায়।
ওই কর্মকর্তা জানান, বাণিজ্য মন্ত্রনালয় ইতিমধ্যে চিঠিটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছে, স্থানীয় বাজারে সম্ভাব্য প্রভাবগুলি পরীক্ষা করে দেখার জন্য এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করার জন্য অনুরোধ করেছে।
স্থানীয় বাজারে এখন ডিম সরবরাহের কোনও ঘাটতি আছে কিনা তা বিবেচনা করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে।
মুন্সী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী চাঁন মিয়া মোল্লা জানান, অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে ডিমের বার্ষিক উৎপাদন ছিল ৪.৯৬ বিলিয়ন পিস সেখানে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে উৎপাদন হয়েছে ১৭.১১ বিলিয়ন পিস। দেশে বর্তমানে জনপ্রতি বার্ষিক ডিম খাওয়ার পরিমান ১০৪টি যা এফএও গাইডলাইন সমান।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব মতে চলতি অর্থবছরে এফ.এ.ও নির্দেশিত ১০৪টি ডিমের নূন্যতম চাহিদা পূরণ হয়েছে। তাছাড়া মাংসের মাথাপিছু বার্ষিক চাহিদা ৪৩.২৫ কেজি’র বিপরীতে গত বছরই ৪৫.১০ কেজি উৎপাদিত হয়েছে। অর্থাৎ ডিম ও মাংসে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ।