টাঙ্গাইল : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই ডাকে মুক্তিকামী মানুষ প্রশিক্ষিত পাক বাহীনির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে এবং পরাজিত করে দেশ স্বাধীন করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস্ সাধারণ নাগরিক, মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, সরকারি – বেসরকারি চাকুরীজীবী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের টাঙ্গাইল ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে মুক্তিকামী নিরিহ মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে আনা হতো এই সার্কিট হাউসে। সেখানে নির্যাতন চালানোর পর সার্কিট হাউসের পেছনে জেলা সদর পানির ট্যাংকের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে তাদের হত্যা করা হতো।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জেলা সদরে বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও সংস্কার এবং নবরুপে নির্মিত স্মৃতিসৌধ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন; মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আর তাদের এদেশীয় দোসররা চালায় নির্যাতন ও গণহত্যা। দেশের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয় অসংখ্য বধ্যভূমি ও গণকবর। এগুলোর কোনো কোনোটিতে কয়েক হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের এই পানির ট্যাংক এলাকা মুক্তিযুদ্ধের সময় বধ্যভূমি হয়ে ওঠে। ১১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল মুক্ত হওয়ার পর জেলা সদর পানির ট্যাংকের পাশে অসংখ্য মাথার খুলি ও হাড়গোড় পড়ে থাকতে দেখাগেছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর ইতিহাস বিকৃত করেছে,স্বাধীনতার ঘোষক হয়েছে। সত্যকে কখনই আড়াল করা যায় না। নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে, তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
জেলা প্রশাসক মো. সহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মোঃ ছানোয়ার হোসেন ও তানভির হাসান ছোট মনির। পুলিশ সুপার, আওয়ামী লীগের নের্তৃবৃন্দ এবং জন প্রতিনিধিবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।