ফারুক আলম (লালমরিরহাট প্রতিনিধি): লালমনিরহাট জেলার মূলতো তিস্তা অববাহিকা।জেলার প্রায় সব উপজেলা ছুঁয়ে বয়ে চলে তিন্তা। বর্ষায় বন্যাজল অপর সময়ে শুষ্ক বালুচর। এই শুষ্ক বালুচরের ঝরঝরে বালুতেই চাষ হচ্ছে হরেক ফসল। বসে নেই কেউ। মিষ্টি কুমড়া, বাদাম, তামাক, ভুট্টা, গম, পেঁয়াজবীজ ক্ষেতে ব্যস্ত সময় কাটছে নদীতীরের কৃষকদের।
বালুচরের এবার আশা জাগানিয়া ফসল হল, কুমড়া।কু মড়ার চাষকে বাণিজ্যিক রুপ দিয়েছেন মোফাজ্জল হোসেন, মুকুল মিয়া সহ অনেকেই। বালুচরে নির্দিষ্ট ভূমি মাপ না থাকলেও, গোর্ধনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আজিমুল মেম্বারের ছেলে মোফাজ্জল হোসেন প্রায় ৪ একর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। ক্ষেতে কারবারিরা এসে প্রতিকেজি মিষ্টি কুমড়া ১৪ টাকা কেজি দর হাকিয়েছেন, প্রতিটির গড় ওজন ৪ কেজি। ফলন নিয়ে বেশ আশাবাদি হলেও, যোগাযোগ সহ নেই তার কোন সুযোগ সুবিধা। এমন কি সরকারি পরামর্শ।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের স্পারবাঁধের পাশে মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে মুকুল মিয়াও চাষ করেছেন মিষ্টিকুমড়ার। তার ক্ষেতেও ধরেছে মিষ্টিকুমড়া। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে মুকুল মিয়াকে দেয়া হয়েছে চাষের বীজ, সার। মুকুল মিয়া জানান, একেকটি গর্তে চারটি করে চারা লাগিয়েছে। প্রতিটি গাছ হতে ১০ থেকে ১৫টি করে কুমড়া উঠবে।
তিস্তার চর থেকে ফিরে কৃষিকর্মকর্তা কৃষিবিদ আলিনূর রমানের সাথে তিস্তার চরাঞ্চলের চাষাবাদ নিয়ে আলাপকালে তিনি জানান, লালমনিরহাটের তিস্তার চরে বাদাম, কুমড়া, ভুট্টার ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। তবে, বাধ্যবাধকতার কারণে সব কৃষককে পৌঁছে দেয়া যাচ্ছেনা সঠিক পরামর্শ থেকে অন্যান্য সুযোগ সুবিধাগুলো।