নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্যবসাবান্ধব ট্রেড পলিসি চায় যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এমপি’র সাথে দেখা করে ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট) ক্রিস্টোফার উইলসন এর নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দল এ কথা জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের সহকারি প্রতিনিধি ক্রিস্টোফার উইলসন বলেন, বাংলাদেশে বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এজন্য বাংলাদেশের কাষ্টমস প্রসেস, ট্যাক্স, ই-কমার্স ইত্যাদি বিষয়গুলো আরো সহজ হওয়া প্রয়োজন। মার্কিন যুক্তরাষ্টের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশে পার্টনারশীপেও বিনিয়োগ করতে পারেন। বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর হলে বাণিজ্য সহজ হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের বেশ চাহিদা রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলা বাংলাদেশে রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আগামী টিকফা বৈঠকে আলোচনার সুযোগ রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একশতটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলোতে মার্কিন বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে মার্কিন বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করবেন। বাংলাদেশের কৃষি পণ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ শিল্পখাতে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে যে কোন পণ্য কম খরচে উৎপাদন করে রপ্তানি করার সুযোগ রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য সরকার বিনিয়োগবান্ধব নীতি গ্রহণ করেছে। বিনিয়োগকারীগণ শিল্পে শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারবেন। ট্যাক্সের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। বিনিয়োগকারীগণ প্রয়োজনে মূলধনসহ মুনাফা ফিরিয়ে নিতে পারবেন। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার অনেক শর্ত শিথিল করেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে কাষ্টমস প্রসেস ও ট্যাক্স সহজ এবং ব্যবসাবান্ধব ট্রেড পলিসি চায় যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক খাতের ফ্যাক্টরিগুলো ইতোমধ্যে কমপ্লায়েন্স হয়েছে। শ্রম আইন সংশোধন করে সময়পোযোগী করা হয়েছে। আমদানি-রপ্তানির সুবিধার জন্য পোর্টগুলো উন্নত করা হয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে উভয় দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে আগামী বৃহস্পতিবার টিকফা বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ প্রতিনিধি দলে ছিলেন, ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর. মিলার, পলিটিক্যাল এন্ড কমার্সিয়াল কান্সিলর ব্রেন্ট ক্রিসটেনসেন, ডেপুটি ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ ফর সাউথ এন্ড সেন্ট্রাল এশিয়া জেবা রিয়াজউদ্দিন, ভারতের ইউএস দূতাবাসের বাণিজ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি সিনিয়র কমার্সিয়াল অফিসার গ্রিজোরি টেভস।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিবও ডব্লিউটিও এর মহাপরিচালক মো. কামাল উদ্দিনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।