মো. এমদাদুল হক : জয়পুরহাট সদর উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে পরিবেশবান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে রবি মৌসুমের স্থাপিত জৈব কৃষি ও জৈবিক বালাই ব্যবস্থাপনা এর আওতায় অধিক ফলনশীল ‘‘দেব গিরি লাউ’’ শীর্ষক এক মাঠ দিবস বুধবার (৪ মার্চ) উপজেলার পুরানাপৈল ব্লকের বনখুর গ্রামের কৃষক মো. শাফিরুল ইসলাম এর জমিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ স.ম.মেফতাহুল বারি। পু
রানাপৈল ইউনিয়ন পরিষদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম সৈকত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন অতি:পরিচালক কৃষিবিদ মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, সদর উপজেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. কায়ছার ইকবাল, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা হক, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অমল চন্দ্রর মন্ডল এছাড়া অনান্যা উপহকারী কৃষি কর্মকর্তা। স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. কায়ছার ইকবাল বলেন, উপজেলা সবজি উৎপাদনের জন্য খুবই উপযোগী এ উপজেলায় শাকসবজি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে। সবজি চাষে অন্য ফসলের তুলনায় খরচ কম লাভ বেশি। এছাড়া পরিকল্পিত শাকসবজি উৎপাদনরে পরামর্শ প্রদান করে থাকে।
প্রধান অতিথি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ কৃষিবিদ স.ম.মেফতাহুল বারি বলেন, কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অধিক উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে আমাদের কৃষি উৎপাদন পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শাকসবজি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। আমাদের নিরাপদ শাকসবজি উৎপাদন প্রযুক্তি কাজে লাগাতে হবে। আমরা নিরাপদ সবজি বেশি পরিমান উৎপাদন করতে পারলে বিদেশে রপ্তানি করে আরো বেশি লাভবান হতে পারি। এছাড়া সেক্স ফেরোমন ফাদঁ এর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন আলোচনা করে। পরিশেষে নিরাপদ প্রযুক্তিতে শাক সবজি উৎপাদনের বিশেষ অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি পুরানাপৈল ইউনিয়ন পরিষদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোরশেদ আলম সৈকত বলেন, বর্তমান সময়ে কৃষক-কৃষাণি আধুনিক চাষাবাদ প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ অধিক ফলনশীল বীজ ও আধুনিক চাষাবদ সমন্ধে জ্ঞান পাওয়ায় কৃষির ব্যাপক পরির্বতন হয়েছে। আগামী দিনে কৃষি প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি করার আহবান জানান।
আবাদকারী চাষী মো. শাফিরুল ইসলাম বলেন,আমরা এখন বিষমুক্ত জৈব কৃষি ও জৈবিক বালাই সমন্ধে জ্ঞান ও উচ্চ ফলনশীল ফসলে জাত পাওয়া অধিক ফলন করে বেশ লাভবান হবো। আমার লাউ প্রদর্শনী জমিতে বিঘাপ্রতি খরচ ৮-১০ হাজার টাকা, আশা রাখি বিঘায় ২৫-৩০ হাজার টাকার লাউ বিক্রয় হবে। অনুষ্ঠানে প্রায় ২শতাধিক কৃষক- কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠান টি সঞ্চালনা করেন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. ইনসান আলী।