মো. জুলফিকার আলী: বারি মসুর-৮ সাধারণ জাতের তুলনায় দ্বিগুণ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন। সাধারণ জাতের মসুর যেখানে বিঘাপ্রতি ফলন হয় ৩ থেকে ৫ মণ। সেখানে বারি মসুর-৮ জাতে বিঘাপ্রতি ফলন হয় ৭ থেকে ৮ মণ হয়ে থাকে । এটি স্বল্প কালীন জাত। এ জাতের মসুরের জীবনকাল ১১০ থেকে ১১৫ দিন। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। এ জাতটি পাতা ঝলসানো (ব্রাইট) রোগ সহনশীল।
মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অধিক ফলনশীল বারি মসুর-৬ উৎপাদন শীর্ষক এক মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. কামরুল হক মিঞা। উপজেলার দরবেশপুর গ্রামে গত ৫ই মার্চ উক্ত মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে মসুরের উন্নত জাত ও চাষাবাদের আধুনিক কলাকৌশল বিষয়ে কৃষকদের অবহিত করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ডালে আছে প্রচুর পুষ্টি, তাই ডালকে গরিবের মাংস বলে হয় থাকে। ডাল খেলে শরীরের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই আর মাংস বেশী পরিমান খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। সে কারণে অন্যান্য ডালের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল বারি মসুর-৮ জাতটির আবাদ বৃদ্ধি ও উৎপাদন বাড়াতে এবং ডালের ঘাটতি লাঘবে উপস্থিত কষক-কৃষনীদের অনুরোধ জানান। দিনব্যাপী মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিসহ প্রায় শতাধিক কৃষক- কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাসরিন পারভীন এর সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ স্বপন কমার খাঁ, জেলা বীজ প্রত্যায়ন অফিসার ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ।