শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

চাল কালোবাজারি ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস জনিত কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া ও কর্মহীন মানুষের জন্য প্রদত্ত ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে কোন ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এমপি। তিনি বলেন, ওএমএসের চাল কালোবাজারির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে।  পাশাপাশি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওএমএসের চাল বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতি করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে বরখাস্ত ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় হতে এ সংক্রান্ত জিও (অফিস আদেশ) জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও করোনাভাইরাস জনিত প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করছে।  প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা মোতাবেক আমরা সবাই একযোগে কাজ করছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগের ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি আরো বলেন, ওএমএসের চাল কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি প্রয়োগ করা হবে। পাশাপাশি এরুপ অনিয়ম/দুর্নীতিতে  জড়িত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত করা, তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়েরসহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করাসহ তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয় হতে জারিকৃত অফিস আদেশে আরো উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে শহর ও গ্রামে বিপুল সংখ্যক মানুষের আয়-রোজগারের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের খাদ্য সহায়তা হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয় ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অধীনে চাল বিতরণ করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনার আলোকে খাদ্য মন্ত্রণালয়/খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিষয়টির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়েছেন। কিন্তু পত্র-পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্রে জানা যায় যে, কিছু কিছু জায়গায় ওএমএসের চাল কালোবাজারি  হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের কয়েকটি স্থানে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনিয়ম/দুর্নীতির বিষয়ে  সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণসহ প্রতিবেদন তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।

This post has already been read 2628 times!

Check Also

নরওয়ের সাথে সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক: নরওয়ের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি নৌযোগাযোগ স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট …