মো.জুলফিকার আলী (পাবনা) : কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর- কুষ্টিয়ার, মিরপুর আয়োজনে মিরপুর উপজেলা পরিষদ হল রুমে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক/কৃষাণীদের মাঝে বিনামূল্যে আমন ধানের চারা ( ব্রিধান-২২) ও মাষ কালাই এর রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন গত ২৭ আগস্ট অনুষ্টিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়ার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শ্যামল কুমার বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত
উপরিচালক (উদ্যান) কষিবিদ আরশেদ আলী চৌধুরি ,মিরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইচ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জোয়ার্দ্দার , মিরপুর পৌরসভার মেয়র হাজ্বী মো. এনামুল হক , উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ, সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো. রাকিবুল হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সাবিহা সুলতানা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, উপস্থিত ছিলেন , চিথলিয়া ইউনিয়নের চেলারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিশ্বনাথ পাল, সুকেশ রঞ্জন পাল, মো.নিহারুল ইসলাম, শামীম আহমেদ, মো. আব্দুল আলীম, এসএপিপিও ফরহাদ হোসেন।
স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, চলতি খরিপ ২/২০২০-২১ মৌসুমে আমন ও মাষ কালাই এর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় মাষকালই এর উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিরপুর উপজেলাতে চলতি খরিপ-২ মৌসুমে ৩০০ জন কৃষক/ কৃষাণীর মাঝে বীজ ও রাসয়নিক সার প্রদান করা হবে। যেখানে প্রতিজন কৃষক/ কৃষাণী ৫ কেজি মাষকালাই বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ৫ কেজি এমওপি সার পাবেন। আমন ধানের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০ জন কৃষক / কৃষাণীর মাঝে বিআর ২২ জাতের ধানের চারা বিতরণ করা হয়। কৃষকদের তা ফসলে জমিতে ব্যবহার ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা জন্য চাষীদের অনুরোধ জানান।
প্রধান অতিথি কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, করোনাকালীন সময়ে দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয় না হয় সে লক্ষে সরকার কৃষিতে সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্নভাবে কৃষকদেরকে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। সরকরের দক্ষ এবং সময়োচিত পদক্ষেপে কৃষি উৎপাদন সহ সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক হারে সাফল্য অর্জিত হচ্ছে।
এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, করোনা ভাইরাসজনিত মহামারীতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কৃষকদের খাদ্য ও পুষ্টি নিরসনে কাজ করতে হবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি ইঞ্চি জায়গা ও পতিত জমি যাতে খালি না থাকে সে লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে যথারীতি বীজ ও সার বিতরণ করছে সরকার। এতে কৃষকের আর্থ সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন সহ কৃষি ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে কৃষি ক্ষেত্রে দিনকে দিন উন্নয়নের জোয়ার পরিলক্ষিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানে জেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সহ প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক- কৃষাণি উপস্থিত ছিলেন।