বৃহস্পতিবার , ডিসেম্বর ১৯ ২০২৪

ভুট্টা উৎপাদন দ্বিগুণ করার আহ্বান ডিএই মহাপরিচালকের

মো. আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি (রাজশাহী) : দেশে বার্ষিক ভুট্টা উৎপাদন ৫০ লাখ মে.টন হতে আগামীতে ১ কোটি মে. টনে নিয়ে যেতে হবে। মুজিব বর্ষে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কৃষিকে লাভজনক এবং বানিজ্যিকীকরণ করতে হবে। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল মুঈদ ডিএই রাজশাহী অঞ্চলের উদ্যোগে কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আঞ্চলিক কর্মশালায় এসব কথা বলেন।

কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল মুঈদ বলেন, মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কৃষিবিভাগ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনের আহবান এবং এসডিজির লক্ষ্য পূরণে এ প্রকল্প সহায়ক হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য উৎপাদন ২ গুন করার যে লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার কাজ করছে তা পূরনেও এ প্রকল্পের কার্যক্রম ভূমিকা রাখবে। তিনি কৃষকদের উপযুক্ত পরামর্শ এবং এর ফিডব্যাকের ওপর বিশেষ গুরত্ব প্রদান করেন।

এছাড়াও তিনি পুষ্টিবাগান, কৃষি উদ্যোক্তাদের তালিকা প্রস্তুতকরণ, সরিষার নতুন জাত ব্যবহার, আমনের সম্পূরক সেচ, সারের নায্যমূল্য নিশ্চিতকরণ এবং সরবরাহ, পার্চিং ও আলোকফাঁদ সহ বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনা এবং আগামীর কৃষি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।

রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সুধেন্দ্র নাথ রায়ের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চ অলংকৃত করেন উন্নতমানের বীজ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং বিসিএস কৃষি ক্যাডারের সভাপতি কৃষিবিদ মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. শামছুল হক, আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ মো. হাবিবুল হক এবং  কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. মোখলেছুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য এবং প্রকল্প কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং প্রকল্প কার্যক্রম বিশদভাবে বর্ননা করেন। তিনি উল্লেখ করেন প্রকল্প কার্যক্রম ১৩ টি অঞ্চলের ৬০ টি জেলার ১৫০  টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হবে।

সভাপতি তাঁর বক্তব্যে নতুন ফসলের জাত সম্প্রসারণ এবং বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কৃষি উন্নয়নমূলক কার্যক্রম যাতে মাঠ পর্যায়ে সুন্দরভাবে বাস্তবায়িত হয়, তার ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন। বক্তব্য শেষে সকলকে ধন্যবাদ  জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ, কৃষি গবেষণা, বিএডিসি, এআইএস, এসসিএ সহ বিভিন্ন কৃষি দপ্তরের প্রায় ১০০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল মুঈদ গত ১১-০৯-২০ হতে ১২-০৯-২০২০ তারিখ পর্যন্ত রাজশাহী অঞ্চলের নওগাঁ, নাটোর, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন মাঠে পারিবারিক সব্জি বাগান, আউশ ধান কর্তন, কাজু বাদামের চারা রোপণ, ড্রাগণ ফল ও মাল্টা বাগান পরিদর্শন, বন্যা পরবর্তী কৃষি ব্যবস্থাপনা, হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শন সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 4857 times!

Check Also

আমন ধানে ব্রাউন প্ল্যান্ট হপার আক্রমণ: ফলনের ক্ষতি ও করণীয়

ড. মো. মাহফুজ আলম: বাংলাদেশে ধান প্রধান ফসল হিসেবে পরিচিত এবং এর উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির …