বৃহস্পতিবার , ডিসেম্বর ১৯ ২০২৪

উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে নতুন জাত ও প্রযুক্তি দ্রুত মাঠে নিতে হবে

এগ্রিনিউজ২৪.কম:  ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনের জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করতে হলে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত নতুন নতুন জাত ও প্রযুক্তি অবশ্যই দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠে নিয়ে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কৃষি কর্মকর্তাদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। বিএডিসি-কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের লিংকেজ আরো জোরদার করতে হবে।’ রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিসের সহযোগিতায় “ময়মনসিংহ অঞ্চলের বর্তমান রোপা আমন আবাদ পরিস্থিতি এবং আগামী বোরো ও রবি মওসুমের প্রস্তুতি” বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান এসব কথা বলেন।

কৃষি সচিব বলেন, বর্তমান খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করার জন্য ময়মনসিংহ অঞ্চলের হালুয়াঘাট এলাকার পতিত জমিগুলো চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান সৃজনের জন্য সরকারি সহযোগিতার অর্থ সুষ্ঠ ব্যবহারের জন্য তিনি কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান। সরকারি প্রণোদনা, পুর্নবাসন, ক্ষতিপূরণের অর্থ সঠিকভাবে কৃষকদের মাঝে বিতরণের জন্য তিনি গ্রুপভিত্তিক পর্যায়ক্রম পদ্ধতি অনুসরনের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর -এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন – ড. তমাল লতা আদিত্য, পরিচালক (গবেষণা), ব্রি। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ড. মো. আবদুল মুঈদ, মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ড. আবুল কালাম আযাদ পরিচালক (প্রশাসন), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, এবং ড. কৃষ্ণ পদ হালদার, পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা), ব্রি।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বিভিন্ন বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান, এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাবৃন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৪টি জেলার উপ-পরিচালকগণ, অতিরিক্ত উপ-পরিচালকগণ, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ৪টি জেলার জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর ময়মনসিংহ অঞ্চলের যুগ্ম পরিচালক ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন। বারি ও এআরডিআই এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এই কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ড. খন্দকার মো. ইফতেখারুদৌলা, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রধান, উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ, ব্রি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর পক্ষ থেকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মো. রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চল, ময়মনসিংহ।

This post has already been read 4445 times!

Check Also

আমন ধানে ব্রাউন প্ল্যান্ট হপার আক্রমণ: ফলনের ক্ষতি ও করণীয়

ড. মো. মাহফুজ আলম: বাংলাদেশে ধান প্রধান ফসল হিসেবে পরিচিত এবং এর উৎপাদন গ্রামীণ অর্থনীতির …