বৃহস্পতিবার , ডিসেম্বর ১৯ ২০২৪

বুধবার বিশ্ব ওজন দিবস : নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের বিকল্প ব্যবহার জনপ্রিয় করা এবং ওজোনস্তরের গুরুত্ব ও এর সুরক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯৪ সনের ১৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ওজোন দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে মোতাবেক ১৯৯৫ সাল হতে প্রতিবছর

আন্তর্জাতিকভাবে ওজোন দিবস পালিত হচ্ছে। এ বছর জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে Ozone for life: 35 years of ozone layer protection (প্রাণ বাঁচাতে ওজোনঃ ওজোনস্তর সুরক্ষার ৩৫ বছর) ।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালিত হবে। এ উপলক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিবেশ অধিদপ্তর জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।  মহামান্য রাষ্ট্রপতি,  প্রধানমন্ত্রী, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের  মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী, সচিব এর বাণী এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রবন্ধ সম্বলিত বিশেষ ক্রোড়পত্র জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ করা হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান প্রচারিত হবে।

বিশ্ব ওজোন দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে আগারগাঁওস্থ পরিবেশ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ২.০০টায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে একটি জাতীয় সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। এ সেমিনারে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের  মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সচিব ও অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধিসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের উপরিভাগে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে অবস্থিত ওজোনস্তর সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি ধরে রাখছে । মানুষের সৃষ্ট কিছু ক্ষতিকর গ্যাস/দ্রব্য যেমন সিএফসি, হ্যালন, কার্বন টেট্টাক্লোরাইড, মিথাইল ব্রোমাইড ইত্যাদি দ্বারা ওজোনস্তর ক্রমাগত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে চলেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীতে অতিবেগুনী রশ্মির আপতন বৃদ্ধির ফলে মানব স্বাস্থ্যসহ প্রাণী জগৎ ও উদ্ভিদ জগৎ-এর ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে – বেড়ে যাবে ক্যান্সার, হ্রাস পাবে শস্যের ফলন, ক্ষতিগ্রস্থ হবে সামুদ্রিক প্রাণীসম্পদ।

এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি ও বিজ্ঞানীদের সময়োচিত তৎপরতায় ১৯৮৫ সালে ভিয়েনা কনভেনশন এবং ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৭ কানাডার মন্ট্রিলে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা সম্বলিত মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়। এই প্রটোকলের আওতায় একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যসমূহের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যসমূহের ব্যবহার নিষিদ্ধসহ প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

This post has already been read 3538 times!

Check Also

পরিবেশ সুরক্ষা ও পানি সাশ্রয়ে এডব্লিউডি সেচ পদ্ধতি

ড. এম আব্দুল মোমিন: ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। আউশ, আমন  বোরো মৌসুমে আমাদের দেশে ধান …