রাজেকুল ইসলাম (নওগাঁ) : বন্যার পানিতে রোপা আমন ধান তলিয়ে যাওয়ার পর ফাঁকা জমিতে কিছুটা আগাম ভাবেই মেঘাচ্ছন আকাশ ও ঘন কুয়াশার মধ্যেই ইরি-বোরো ধানের চারা রোপন শুরু করেছেন নওগাঁ জেলার রাণীনগরের চাষিরা। এবার উপজেলার ৮ ইউনিয়নে প্রায় ১৮ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর ৯’শ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি হয়েছে। তবে, বন্যার পানিতে ক্ষতির কারণে কিছুটা পুষিয়ে নিতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে কিছুটা আগেই চাষিরা ধান লাগানো শুরু করেছে বলে জানাগেছে।
জানা গেছে, বন্যার পানি দ্রুত গতিতে নেমে যাওয়ায় ইরি চাষের জন্য জমি উপযোগী হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের কিছু আগেই মাঠের পর মাঠ জুড়ে কৃষরা শুধু ইরি ধান রোপণের কাজে ঝুঁকে পড়ছে। উপজেলার মিরাট ইউপির হরিশপুর গ্রামের আনিছার ফারাজি, আব্দুল হামিদ আবুল হোসেনসহ অন্যান্য কৃষকরা জানান, ইরি ধান লাগানোর উপযোগী আবহাওয়া থাকায় আমরা সুযোগ বুঝে জমিতে ধান লাগানো শুরু করেছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় প্রয় ১৮ হাজার ২০০হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এবার লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ ধান লাগানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যার পানি আগাম নেমে যাওয়ার ফলে চাষীরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ ক্রমে আগেই বীজতলা তৈরি করে মান সম্পন্ন চারা প্রস্তুত করেছে। সুশম সার, আধুনিক পদ্ধুতিতে লাইন করে ধান লাগানো, নিবির পরিচর্যা ও যথা সময়ে রাসায়নিক সার, কীটনাশক প্রয়োগের জন্য আমার দপ্তর থেকে আমিসহ মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিদিনই সময় উপযোগী পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।