শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

আগামীতে ধানের চারা রোপন ও কাটার জন্য মানুষের প্রয়োজন হবে না –ডিএই মহাপরিচালক

কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি (রাজশাহী) : আগামী দিনগুলোতে ধানের চারা রোপন করা ও কাটার জন্য আর মানুষের প্রয়োজন হবেনা। কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প সময়ের মধ্যে ধান কাটা ও মাড়াই এর কাজ করা হবে। শুক্রবার (৯ জানুয়ারি) বগুরার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে ব্রিধান ৯০ ধান সংরক্ষণের ওপর আয়োজিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুল্লাহ এসব কথা বলেন। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় বগুড়া সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মহাপরিচালক এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের চত্বরে একটি কাজু বাদামের চারা রোপন ও ফিয়াক সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরে তিনি  উপস্থিত কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে অত্র প্রকল্পের মাধ্যমে সরবরাহকৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ওজন মাপার যন্ত্র, সেলাই মেশিন ও ময়েশ্চার মিটার বিতরণ করেন।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হকের সঞ্চালনায় এবং কৃষি সম্প্রসারণ বগুড়ার উপ-পরিচালক, কৃষিবিদ দুলাল হোসেনের সভাপতিত্বে মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. বেনজির আলম, প্রকল্প পরিচালক, সমন্বিত প্রযুক্তির মাধ্যমে খামার যান্ত্রিকীকরন প্রকল্প এবং জিএমএ গফুর, অতিরিক্ত পরিচালক, ডিএই, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়া।

প্রধান অতিথি বলেন, আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে, এজন্য আমাদের ফলন বৃদ্ধি করতে হবে এবং মানসম্মত বীজ ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান সরকার কৃষক যাতে ফসল উৎপাদন করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী লাভবান হয় সেজন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কৃষিকে আধুনিকায়ন করার জন্য ব্যাপক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং আগামীতেও করা হবে।

অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা/ কর্মচারীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, কৃষাণ-কৃষাণীসহ প্রায় ৩০০ জন  উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 2629 times!

Check Also

মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতি ও সুষম সার ব্যবহার বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

পাবনা সংবাদদাতা: পাবনা’র ভাঙ্গুড়া উপজেলায় মৃত্তিকা সম্পদের যৌক্তিক ও লাভজনক ব্যবহার, মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতি …