*ড. মো. শাহজাহান কবীর, **ড. মো. আবদুল কাদের, ***কৃষিবিদ এম আব্দুল মোমিন:ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই ধানের আবাদ ও উৎপাদন প্রক্রিয়া এ দেশের জনগণের জীবনযাত্রা ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ১৯৭০ সালের ১ অক্টোবর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হলেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে আইন পাশের (Act. No X of 1973) মাধ্যমে ব্রিকে জাতীয়করণ ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেন-শুরু হয় ধানের উপর নিয়মতান্ত্রিক গবেষণা। পাশাপাশি তিনি দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে ব্রির বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেন বিআর৩ বা বিপ্লব, যা দেশের খাদ্য উৎপাদনে একটি সত্যিকারের বিপ্লব নিয়ে আসে।
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ ধরেই গত পাঁচ দশকে এদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলছে ব্রি। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, ক্রমহ্রাসমান কৃষিজমি ও প্রাকৃতিক সম্পদ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতের ফলে সৃষ্ট নানাবিধ বৈরী পরিবেশ মোকাবেলা করেও ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। ফলশ্রুতিতে, অতীতের খাদ্য ঘাটতির দেশটি আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। যা নিঃসন্দেহে আমাদের জাতীয় জীবনের এক অসামান্য অর্জন।
ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির পুষ্টির অধিকাংশ ক্যালরি, প্রোটিন ও মিনারেল আসে ভাত থেকে। অন্য পুষ্টিকর খাবার যোগাড় করতে না পারলেও দুই বা তিন বেলা ভাতের সংস্থান এখন প্রায় সকলেরই সামর্থ্যের মধ্যে। তাই ভাতের মাধ্যমে কিভাবে পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন বাংলাদেশের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। বাংলাদেশে মাথাপিছু চালের গ্রহণ হার হিসেবে দৈনিক যে পরিমাণে পুষ্টি আমরা চাল বা ভাত থেকে পাই যা কোনভাবেই আমাদের চাহিদার সমান নয়। সুনিদিষ্ট করে বলতে গেলে, প্রতি ১০০ গ্রাম চাল থেকে আমরা মোটামুটি ১২৯ কিলোক্যালরি শক্তি, ৭৮.০৯ গ্রাম শর্করা, ৭.১২ গ্রাম প্রোটিন, ০.২৮ গ্রাম চর্বি, ১.৩০ গ্রাম আঁশ ০.০৭ মি.গ্রাম থায়ামিন, ০.০১৫ মি. গ্রাম রিভোপ্লাবিন, ১.০৯মি. গ্রাম জিংক, ২৮ মি. গ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৮০ মি. গ্রাম আয়রন, ২৫ মি. গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যোপাদান থাকে (ইউএসএআইডি পুষ্টি ডেটাবেজ)। এ কারণে খাদ্যের চাহিদা মিটলেও পুষ্টির চাহিদায় পূরণে আমরা এখনো অনেক পিছিয়ে। বাংলাদেশে ৫ বছরের কমবয়সী শিশুর প্রায় দু-তৃতীয়াংশই কোনো না কোনো মাত্রার অপুষ্টিতে ভুগছে, এর মধ্যে শতকরা ১৪ ভাগ শিশু ভুগছে মারাত্মক অপুষ্টিতে। এর কারণ পুষ্টি সচেতনতার অভাব অথবা পুষ্টিকর খাবার ক্রয় করার অসামর্থতা।
অথচ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রচিত ১৯৭২ সালের সংবিধানে নাগরিকের পুষ্টি উন্নয়ন কে রাষ্ট্রের প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। ১৯৭২ এর সংবিধানে উল্লেখ করা হয় “জনগনের পুষ্টিস্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের প্রাথমিক কর্তব্য বলিয়া গণ্য করিবে”। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা এবং এসডিজির ২নং অভীষ্ট অর্জন কে সামনে রেখে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যেমন- জিংক, আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলসসহ শরীরের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যোপাদানগুলো দেহের প্রয়োজন অনুসারে চালে সংযোজন, সরবরাহ বা পরিমাণে বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কাজ করছে। পুষ্টিসমৃদ্ধ জাত উদ্ভাবনে বিশ্বের সর্বাধুনিক বায়োফর্টিফিকেশন ও জিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ব্রি প্রথম সফলতা পায় ২০১৩ সালে বিশে^র সর্বপ্রথম জিংকসমৃদ্ধ জাত ব্রি ধান৬২ উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে ব্রি জিংক সমৃদ্ধ আরো চারটি জাত যেমন- ব্রি ধান৬৪, ব্রি ধান৭২, ব্রি ধান৭৪ এবং ব্রি ধান৮৪ অবমুক্ত করে। সর্বশেষ গত ৯ ফেব্রæয়ারি মুজিব শতবর্ষের উপহার হিসেবে ব্রি হাইজিংক সমৃদ্ধ জাত ব্রি ধান১০০ অবমুক্ত করেছে। যেটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ সংক্রান্ত কারিগরী কমিটি কর্তৃক সুপারিশের পর জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৪তম সভায় চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি নিয়ে ব্রি উদ্ভাবিত জিংক সমৃদ্ধ জাতের সংখ্যা এখন ৬টি। এছাড়াও জনগণের পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্রি প্রিমিয়াম গুণ সম্পন্ন ও রপ্তানিযোগ্য ১১টি, এন্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ধান, ডায়বেটিক ধান এবং প্রো-ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইসের জাত উদ্ভাবন ও উন্নয়ন করা হয়েছে।
মানব শরীরের জন্য জিংক খুব প্রয়োজনীয় একটি খনিজ উপাদান। মানবদেহে ২০০ এরও বেশি এনজাইমের নিঃসরণে অংশ গ্রহণ করে যেগুলো দেহের অনেক বিপাকীয় কাজে এটি অংশ নেয়। এছাড়া দেহে এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, শর্করার ভাঙনে, দেহ কোষের বৃদ্ধিতে এবং পলিপেটাইড গঠন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, চুল পড়া রোধ এবং গ্যাসটিন নিঃসরণের এর মাধ্যমেই স্বাদের অনুভ‚তি বা রুচি বাড়াতে ভূমিকা রাখে। হাড়ের বৃদ্ধির জন্য কেরোটিন তৈরি ও তার পরিপক্কতা, ত্বকের ক্ষত সারানো, আবরনি কোষের রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি কাজে মানব শরীরে জিংকের প্রয়োজন হয়। উঠতি বয়সের কিশোর-কিশোরীদের জিংকের অভাব হলে বেটে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জিংকের অভাবে ডায়রিয়া ও এলার্জির মতো রোগ দেখা যেতে পারে। কিন্তু জিংক সমৃদ্ধ জাতের ভাত খেলে শরীরে জিংকের প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটে যাবে। বাংলাদেশের প্রায় ৪৪.৬ ভাগ শিশু এবং ৫৭.৩ ভাগ প্রাপ্ত বয়স্ক নারী জিংকের অভাবজনিত রোগে ভূগছে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের শরীরে জিংকের দৈনিক চাহিদা প্রায় ৮-১২ মিলিগ্রাম এবং শিশুদের দৈনিক চাহিদা ৩-৫ মিলিগ্রাম। নতুন অনুমোদনকৃত ব্রি ধান১০০ তে জিংক এর পরিমাণ ২৫.৭ মি.গ্রাম/কেজি। এটি মানুষের শরীরে জিংকের যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে তার ৩০-৬০% মিটাতে পারে।
ব্রি ধান১০০ কে একটি উচ্চমাত্রার জিংকসমৃদ্ধ ধান। ব্রি ধান১০০ এর কৌলিক সারি ইজ৮৬৩১-১২-৩-৫-চ২। উক্ত কৌলিক সারিটি বাংলাদেশের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে ইজ৭১৬৬-৫ই ও ইএ৩০৫ এর সাথে ২০০৬ সালে সংকরায়ণ করা হয় এবং প্রাপ্ত ঋ১ লাইনটি ২০০৭ সালে ব্রি ধান২৯ এর সাথে আবারও সংকরায়ণ করা হয় ও পরবর্তীতে ব্রিতে বংশানুক্রম সিলেকশন এর মাধ্যমে উদ্ভাবিত হয়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর গবেষণা মাঠে হোমোজাইগাস কৌলিক সারি নির্বাচন করা হয় এবং ৫ বৎসর ফলন পরীক্ষার পর কৌলিক সারিটি ২০১৭ সালে ব্রির আঞ্চলিক কার্যালয় সমূহের গবেষণা মাঠে ও ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের মাঠে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। অতঃপর ২০২০ সালে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী কর্তৃক স্থাপিত প্রস্তাবিত জাতের ফলন পরীক্ষায় (পিভিটি) সন্তোষজনক হওয়ায় জাতীয় বীজ বোর্ডের মাঠ মূল্যায়ন দল কর্তৃক সুপরিশের পর জাত হিসাবে ছাড়করনের জন্য আবেদন করা হয়।
সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য
ব্রি ধান১০০ এ আধুনিক উফশী ধানের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এছাড়া অঙ্গজ অবস্থায় গাছের আকার ও আকৃতি ব্রি ধান৭৪ এর মতো। এ জাতের ডিগ পাতা খাড়া, প্রশস্থ ও লম্বা, পতার রং সবুজ। পূর্ণ বয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১০১ সে.মি.। জাতটির গড় জীবনকাল ১৪৮ দিন। ১০০০টি পুষ্ট ধানের ওজন গড়ে ১৬.৭ গ্রাম। চালের আকার আকৃতি মাঝারি চিকন এবং রং সাদা। জিংকের পরিমান ২৫.৭ মি.গ্রাম/কেজি এবং দানায় অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৬.৮ ভাগ। এছাড়া প্রোটিনের পরিমাণ শতকরা ৭.৮ ভাগ এবং ভাত ঝরঝরে।
প্রচলিত জাতের তুলনায় এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য
ব্রি ধান১০০ এর জীবনকাল ব্রি ধান৭৪ এর প্রায় সমান। এ জাতের ফলন ব্রি ধান ৭৪ এর চেয়ে সামান্য বেশি হলেও (৪.৫%) ধানের গুণগত মান ভাল অর্থাৎ চালের আকৃতি মাঝারি চিকন এবং ব্রি ধান৮৪ এর চেয়ে ফলন প্রায় ১৯% বেশী। তাছাড়া এই জাতের জিংকের পরিমাণ (২৫.৭ মি.গ্রাম/কেজি) ব্রি ধান৭৪ এর চেয়ে বেশি (২৪.২ মি.গ্রাম/কেজি)। এ জাতটি হেক্টরে ৬.৯-৮.৮ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম।
চাষাবাদ পদ্ধতি
এ ধানের চাষাবাদ পদ্ধতি ও সারের মাত্রা অন্যান্য উফশী ধানের মতই। ১৫ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর অর্থাৎ অগ্রহায়ণের ০১ তারিখ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে বীজ বপন করে ৩৫-৪০ দিনের চারা গাছা প্রতি ২-৩ টি করে ২০ সে.মি. – ১৫ সে.মি. স্পেসিং দিয়ে রোপন করতে হবে। মাঝারি উঁচু থেকে উঁচু জমি এ ধান চাষের জন্য উপযুক্ত। সারের মাত্রা ২৬০ঃ১০০ঃ১২০ঃ১১০ঃ১১ কেজি ইউরিয়াঃ টিএসপিঃ এমওপিঃ জিপসামঃ জিংক সালফেট/হেক্টর)। সর্বশেষ জমি চাষের সময় সবটুকু টিএসপি, অর্ধেক এমপি, জিপসাম এবং জংিক সালফেলট একসাথে প্রয়োগ করা উচিত। ইউরিয়া সার সমান তিন কিন্তিতে যথা রোপণের ১০-১৫ দিন পর ১ম কিন্তি, ২৫-৩০ দিন পর ২য় কিস্তি এবং ৪০-৪৫ দিন পর ৩য় কিন্তি প্রয়োগ করতে হবে। বাকী অর্ধেক এমপি ২য় কিস্তি ইউরিয়ার সাথে প্রয়োগ করতে হবে। জিংকের অভাব পরিলক্ষিত হলে জিংক সালফেট এবং সালফারের অভাব পরিলক্ষিত হলে জিপসাম ইউরিয়ার মত উপুরি প্রয়োগ করতে হবে।
রোগ বালাই ও পোকামাকড়
ব্রি ধান১০০ এ রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম হয়। তবে রোগবালাই ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে বালাইনাশক প্রয়োগ করা উচিত।
ফলন
ব্রি ধান১০০ এর গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭.৭ টন। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে অনুকূল পরিবেশে হেক্টর প্রতি ৮.৮ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। অনুমোদিত নতুন এই জাতের বীজ উৎপাদন করবে ব্রির কৌলি সম্পদ ও বীজ বিভাগ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, গাজীপুর এবং ব্রির আঞ্চলিক কার্যালয় সমূহ এবং বিদ্যমান সীড নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে বীজ বিতরণ করা হবে।
উপসংহার
পরিশেষে বলতে চাই, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য গ্রহণে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। এ জন্য আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকতে হবে। জিংকসহ অন্যান্য পুষ্টিকর চালের ভাত গ্রহণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষকের মাঝে জিংক সমৃদ্ধ জাতগুলোর দ্রুত সম্প্রসারণ নিশ্চিত করতে হবে। এ কাজে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আমাদের শিক্ষিত ও সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোকে এ বিষয়ে জনমত তৈরিতে সচেষ্ট থাকতে হবে। তাহলেই কেবল বঙ্গবন্ধুর কাঙ্খিত জনগণের পুষ্টিস্তর উন্নয়নের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
লেখক: *মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ** প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং ***উর্ধ্বতন যোগাযোগ কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট।