নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে ভাসমান কৃষির ভূমিকা অনন্য। এ পদ্ধতিতে ফসলের জন্য বাড়তি জৈব সারের প্রয়োজন হয় না। নেই কোনো রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার। যে কারণে, ভাসমান পদ্ধতিতে উৎপাদিত সবজি নিরাপদ ও সুস্বাদু হয়। তাই, এর চাষাবাদ সম্প্রসারণ করা জরুরি।
ভাসমান কৃষির আধুনিক প্রযুক্তির ওপর বৈজ্ঞানিক সহকারিদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ এসব কথা বলেন। ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষণা, সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ প্রকল্প আয়োজিত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানটি শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএআরআই) মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের মহাপরিচালক (আইএমইডি) মো. আফজল হোসেন, বিএআরআই’র পরিচালক ড. মো. কামরুল হাসান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল বাশার।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিএআরআই’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া, পিএসও ড. মো. আলিমুর রহমান, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএসআরআই) ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা খলিফা শাহ আলম, আরএআরএস’র ঊধর্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম, এসও মো. মাহবুবুর রহমান, শর্মিলা দাস সেতু, স্মৃতি হাসনা, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণে বিএআরআই’র বৈজ্ঞানিক সহকারি এবং ঊধর্বতন সহকারি মোট ৩০ জন অংশগ্রহণ করেন।