মো. জুলফিকার আলী (পাবনা) : পাবনাস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, উপপরিচালক কর্যালয়,খামারবাড়ি, চত্বরে জেলা প্রশাসন এর সহযোগিতায় পুষ্পমেলা বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে ৮-১৭ ফ্রেরুয়ারি পর্যন্ত ১০ দিন ব্যাপী পুষ্পমেলা-২০২১ সমাপনী ও পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়। মেলায় অংশগ্রগণকারী ১৩টি ফুলের স্টলে মধ্যে মূল্যায়ন কমিটির ম্যাধ্যমে প্রথম পুরস্কার- রিয়াদ নার্সারি, ২য় পুরস্কার শামীম নার্সারি এবং ৩য় পুরস্কার অর্জন করে আর্দশ নার্সারি। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী অন্যান্য ষ্টল নার্সারি মালিক সহ আকর্ষনীয় পণ্য সরবরাহকারীদেরকে মূল্যায়নের মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে পাবনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক (পিপি) কৃষিবিদ মো.সামসুল আলম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ নেওয়াজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. রোকনুজ্জামান সরকার।
প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ নেওয়াজ বক্তব্যে বলেন, ফুলের দিকে তাকালে মানুষের মন ভালো হয়ে যায়। এ যেন সৃষ্টিকর্তার অপরুপ সৃষ্টি, শুধু সৌন্দর্য বর্ধনের প্রতীক নয়, বর্তমান সময়ে ফুল একটি অত্যন্ত লাভজনক অর্থকরী ফসল। ফুল প্রত্যেক অনুষ্ঠানে প্রয়োজন হয়। তাই চাষিরা ফসল সহ অন্যান্য আবাদের পাশাপাশি ফুল আবাদ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারেন। এমনকি জেলা- উপজেলায় ফুলের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি নার্সারি মালিক সমিতি এবং উপস্থিত চাষিসহ সকলকে ফুল আবাদের বৃদ্ধি করার জন্য আহ্বান করেন এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
অন্যদের মধ্যে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. রোকনুজ্জামান সরকার,সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুষ্পমেলা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ মিল্টন,নার্সারি মালিক পক্ষ থেকে মো.আব্দুর রশিদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,বিভিন্ন ইউনিয়নে র্কমরত উপসহকারী কৃষি র্কমর্কতাগণ,কৃষি তথ্য সার্ভিস আঞ্চলিক অফিস পাবনার এআইসিও মো. জুলফিকার আলী এবং জেলা নার্সারি মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন মিডিয়া সাংবাদিকবৃন্দ। অনুষ্টানটি সঞ্চালন করেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. হাসান রশিদ হোসাইনী।
এবারের মেলায় ১৩টি স্টলে ফুলের সৌন্দর্য্যপূণ ও সুসজ্জিতভাবে ফুল ও ফলের চারা সাজিয়ে রেখে বিক্রি করা হয়। প্রায় ৩-৪ লাখ টাকার ১০ হাজার ২শ’ টি চারা বিক্রি হয়েছে। মেলায় গোলাপ, বেলী, জবা ও দেশি বিদেশি বিভিন্ন জাতের ফুল দেখতে ভীড় জমিয়ে ছিল তরুণ-তরুণী সহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। শিশুরাও বেশ আগ্রহী হয়ে ফুলের চারা ক্রয় করেছে। এবারের মেলায় করোনাকালীন সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ১০ দিনই দর্শণার্থী এবং ক্রেতার উপচেপড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
উল্লেখ্য, পাবনা কৃষি তথ্য সার্ভিস কর্তৃক মেলা চলাকালীন-প্রতিদিন বিকাল ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পযর্ন্ত ফুল চাষাবাদ ও উৎপাদন, পরিচর্যা, ফুলের রোগ- বালাই, পোকা- মাকড় দমন সম্পর্কে ভিডিও/সিনেমা,নাটক-নাটিকা দর্শনার্থীদের প্রদর্শন প্রদান হয়। সবমিলে এবারের মেলা বিনোদন, প্রযুক্তি শিক্ষা ও ক্রয় বিক্রয়ে দর্শক ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছে।