মো: আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী) : বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। কৃষি প্রবৃদ্ধির উপর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বহুলাংশে নির্ভরশীল। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কৃষি উৎপাদন ক্রমান্বয়ে স্থবির হয়ে আসছে। এ স্থবিরতা দূরীকরণে নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। বর্তমান বিশ্ব নানা মাত্রিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। দারিদ্র্য, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবতর্ন সমস্যাকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সাথে রয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অথনৈতিক মন্দা, বিভিন্ন দেশের মধ্যে সর্ম্পকের টানাপোড়েন ইত্যাদি বিষয়। গণমাধ্যম আধুনিক সমাজের একটি অপরিহার্য অংশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কৃষি তথ্য সার্ভিস রাজশাহীর আয়োজনে বাংলাদেশ বেতার রাজশাহীর অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপি “বৈশ্বিক করোনাকালীন পরিস্থিতিতে আধুনিক কৃষি তথ্য বিস্তারে গণমাধ্যমের ভূমিকা” বিষয়ক সেমিনারে উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক, রাজশাহী বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক, বিভিন্ন গবেষনা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি এবং কৃষক-কৃষাণীগণ অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, গণমাধ্যম বিশেষ করে রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রের ভূমিকার কারণে উৎপাদন বৃদ্ধি, পশু পালন, কৃষি উপকরণ ব্যবহার, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ছাড়াও শিশু পরিচর্যা, পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ, শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাসহ নানা বিষয়ে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। সম্প্রতি ইন্টারনেট মাধ্যমও রাষ্ট্রযন্ত্র ও কৃষিতে পরিবর্তনসহ বিভিন্ন পরিবর্তন আনয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে। কৃষকদের মধ্যে নতুন নতুন তথ্য প্রযুক্তি প্রচারণা চালাতে, জনগণকে সচেতন করতে ইন্টারনেট মাধ্যমে ব্লগ, ফেসবুকসহ বিভিন্ন ওয়েবপেজ ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে গোটা জাতি তথা কৃষকও উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা জানিয়ে সেমিনারের গুরুত্ব ও ই-কৃষি বিষয়ক তথ্য উপস্থাপন করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি।
সেমিনারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ বেতার ও কৃষি তথ্য সার্ভিস হতে কৃষি ও গণমাধ্যম বিষয়ক তিনটি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করা হয়।