নওগাঁ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আলাদা একটি সেল খুলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। মন্ত্রী বলেন, এখানে একজন ডাইরেক্টর থেকে শুরু করে অন্যান্য কর্মকর্তা- কর্মচারীও নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে।
মন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত হয়ে সেই ভাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের জন্য অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। উনি যেভাবে বলেন সেভাবে আপনাদেরকে শিক্ষিত হতে হবে এবং নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে।
মন্ত্রী আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কাতিপুর কালিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে বাস্তবায়নাধীন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি ও শিক্ষা উপকরন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মুজিববর্ষে এবং বাংলাদেশের ৫০ বছর সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জন্য এই অনুদান পাঠিয়েছেন ৫২টি জেলায়। আমি মনে করি ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জন্য এটি একটি আশীর্বাদ স্বরূপ। এই আশীর্বাদ গ্রহণ করে ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠী তাদের নিজেদের জীবনমান উন্নত করবে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে আমাদের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী জীবনমান যে পরিমাণ খারাপ ছিল তা তারা নিজেরাই অনুমান করতে পারে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ক্ষমতায় আসেন তখন আমাদের এ দেশের উন্নয়ন শুরু হয়েছিল। বর্তমানে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার আগে আমরা দেখেছি, মিটিং করেছি; আদিবাসীদের এই রকম চেহারা দেখি নাই। আদিবাসীদের ভালো কাপড় পরা দেখি নাই, পায়ে কোন জুতা-স্যান্ডেল ছিল না, এখন আদিবাসীরা ভালো জামা কাপড় পড়ে, জুতা-স্যান্ডেল পরে; এখন তাদের জীবন মানের উন্নতি হয়েছে।
এ সময় মন্ত্রী আদিবাসী ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আজকে তোমরা ভালো জামা কাপড় পড়ো, স্কুল-কলেজে যাও, মোবাইল ব্যবহার করো। সার্বিকভাবে তোমাদের জীবন মানের উন্নয়ন হয়েছে। আর এ সবকিছুই হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারনেই। শেখ হাসিনা মানবতার জননী। এই দেশ সকলের দেশ। আমরা সবাই বাঙ্গালী। তাই তোমাদেরকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। জীবনকে অবহেলা করলে হবে না। জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।
পরে মন্ত্রী সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়,১২০টি পরিবারের মাঝে ১২০টি গরু, ৫টি করে টিন, ১২০টি ইট, ৪টি খুঁটি ও ৫০দিনের খাদ্য বিতরণ করেন। এছাড়াও প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন।
এর আগে মন্ত্রী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।