বৃহস্পতিবার , ডিসেম্বর ১৯ ২০২৪

মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, চাল, ডাল, শস্য  উৎপাদন না হলে বিপন্ন অবস্থা সৃষ্টি হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: “যেকোন পরিস্থিতিতে দেশকে চলমান রাখতে হবে। যে পরিবেশই আসুক না কেন অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা সবকিছু চালু রাখতে হবে। মানুষের পুষ্টি, আমিষসহ অন্যান্য খাবারের চাহিদা মেটাতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসকল বিষয় অব্যাহত রাখতে হবে। করোনার মধ্যেও উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে, গবেষণা অব্যাহত রাখতে হবে। মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, চাল, ডাল, শস্য  উৎপাদন না হলে খাদ্যের সরবরাহ থাকবে না। আমাদের বিপন্ন অবস্থা সৃষ্টি হবে। সেজন্য খাদ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। প্রতিকূলতা যতই আসুক মোকাবিলা করতে হবে।”

শনিবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারের কার্যক্রম ও বিধি-বিধান বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রাণিসম্পদ খাতের টেকসই উন্নয়নে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি কার্যকর করা হচ্ছে বলে জানান এ সময় মন্ত্রী।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞানের আবিষ্কার সঙ্গে নিয়ে আমাদের চলতে হবে। এ কারণে আমরা মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার স্থাপন করেছি। প্রাণিজাত যে খাদ্য আমরা বিদেশে রপ্তানি করবো অথবা বিদেশ থেকে আমদানি করবো সেটা মানসম্মত কী না, পুষ্টিসম্মত কীনা এটা এ গবেষণাগারে পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি বিদেশ থেকে আনা প্রাণী খাদ্য মানসম্মত কীনা, এর মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ রয়েছে কীনা সেটাও মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার থেকে জানা সম্ভব হবে। এভাবে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

প্রাণিসম্পদ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাত উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাত একসময় চরম অবহেলিত ছিল। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবহেলার অধ্যায় অতিক্রম করে এ খাতে একটা আমূল পরিবর্তন এসেছে। এ পরিবর্তনে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পৃক্ত হয়েছে। সবাই মিলে কাজ করার ফলে এ খাত এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারের একার পক্ষে একটি দেশের সবকিছু নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। রাষ্ট্রের উন্নয়নে অবদান রাখা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব। এজন্য আমরা বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করছি। কারণ বেসরকারি খাত রাষ্ট্রের উন্নয়নেরই অংশ। বেসরকারি খাতকে সরকার সকল সহযোগিতা করবে।”

অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে প্রাণিসম্পদ খাতকে অব্যাহতভাবে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার কাজ করছে বলেও এসময় জানান মন্ত্রী।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক ও বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল জলিল অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত মহাপরিচালক ডাঃ আবদুল জব্বার শিকদারসহ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজন, বিজ্ঞানী ও গবেষকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারের কার্যক্রম ও বিধি-বিধান বিষয়ে উপস্থাপন করেন উক্ত গবেষণাগার স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোস্তফা কামাল।

This post has already been read 5882 times!

Check Also

চট্টগ্রামে আর ভি মিন সন্ধানী জাহাজ পরিদর্শন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সোমবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত …