নিজস্ব প্রতিবেদক: দুগ্ধ শিল্পে বিনিয়োগকারীদের স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে সরকার ঋণ দেবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার (০১ জুন) রাতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত ওয়েবিনারে রাজধানীর বেইলি রোডের সরকারি বাসভবন থেকে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এসময় তিনি বলেন, “গুঁড়ো দুধ আমদানি সরকার নিরুৎসাহিত করছে। যারা গুঁড়ো দুধের শিল্প বাংলাদেশে স্থাপন করতে চান তাদের যন্ত্রপাতি আমদানিতে উৎসে কর এবং অপরাপর সমস্যা দূর করে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে এ শিল্পকে প্রাথমিক অবস্থায় কর অবকাশ সুবিধা প্রদানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ খাতের উদ্যোক্তাদের আয়কর সুবিধা প্রদানের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসুক। এজন্য তিনি দেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছেন।”
তিনি আরো বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নিতে চান। কারণ এ খাত এগিয়ে গেলে বেকারত্ব দূর হবে, উদ্যোক্তা তৈরি হবে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হবে এবং এ খাত থেকে উৎপাদিত সামগ্রী খাবারের বড় যোগান দেবে। পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।”
ওয়েবিনারে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “কোভিডকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কখনো বন্ধ রাখা হয়নি। আমরা কন্ট্রোল রুম করেছি, ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্র চালু করেছি। অনলাইন বিক্রির ব্যবস্থা চালু করেছি। প্রাণিসম্পদের খাদ্য আমদানি ও পরিবহণ সচল রেখেছি। এভাবে করোনাকালে খামারি, খামার ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত ব্যক্তি এবং সুফলভোগীদের সমন্বিত জায়গায় আনা হয়েছে। এ কারণে এ খাতে ভয়াবহ ক্ষতির যে আশংকা ছিল তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪ লাখ খামারিকে ৫৫৪ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং আরো প্রায় ২ লাখ খামারিকে প্রায় ২৯২ কোটি টাকা আর্থিক প্রনোদনা দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রায়হান হাবিবের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক ড. সোহেল রানা সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমান, মিল্কভিটার ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমর চান বণিক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক ও গবেষকবৃন্দ এবং ডেইরি খাতের বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তাগণ ওয়েবিনারে অংশগ্রহণ করেন।