নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): বিনা উদ্ভাবিত ‘উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের জাত পরিচিতি, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বীজ সংরক্ষণ পদ্ধতি’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কৃষক প্রশিক্ষণ মঙ্গলবার (৮ জুন) বরিশালের রহমতপুরের বিনার ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী উদ্বোধন করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের শস্যনিবিড়তা বাড়ানো দরকার। যেহেতু বিনা উদ্ভাবিত আমন ধানের উচ্চ ফলনশীল জাত রয়েছে, যার জীবণকাল কম। তাই এসব জাত ব্যবহারের মাধ্যমে এ অঞ্চলে বছরে অন্তত তিনটি ফসল ফলানো সম্ভব।
বিনা উপকেন্দ্র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোহেল রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং কর্মসূচী পরিচালক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রফি উদ্দিন এবং বিনার মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার।
প্রশিক্ষণে বরিশাল সদর, বাবুগঞ্জ ও উজিরপুর উপজেলার ৭৫ জন কৃষক এবং সংশ্লিষ্ট ৫ জন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। প্র্রশিক্ষণ শেষে কৃষকদের মাঝে বিনাধান-১১ ও বিনাধান-১৭ জাতের আমনের বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।