নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): তেলজাতীয় ফসলের ওপর দিনব্যাপী এক আঞ্চলিক কর্মশালা বুধবার (০৯ জুন) বরিশালের মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক এ কে এম মনিরুল আলম। তিনি বলেন, আমাদের দেশে তেলের উৎপাদন খুবই কম; সে কারণেই শতকরা ৯০ ভাগ তেল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, সয়াবিন ও পামওয়েলের তুলনায় সরিষা, তিল, তিসি, সূর্যমুখী স্বাস্থ্যের জন্য হিতকর। তাই ভোজ্যতেলের ঘাটতি পূরণে চাই তেলফসলের আবাদ বৃদ্ধি। এতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি জমির উর্বরতাও বাড়বে।
ডিএই বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. তাওফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাফি উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলমগীর হোসেন। কিনোট উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন প্রকল্প পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন।
ডিএই ঝালকাঠির অতিরিক্ত উপপরিচালক মো. অলিউল আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সাব্বির হোসেন। ডিএই পিরোজপুরের উপপরিচালক চিন্ময় রায়, বরিশালের উপপরিচালক হৃদয়েশ^র দত্ত, ঝালকাঠির উপপরিচালক মো. ফজলুল হক, পটুয়াখালীর উপপরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন, ভোলার উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ, বরগুনার উপপরিচালক আব্দুর রশিদ, বরিশাল জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সিকদার, প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার রথীন্দ্র্রনাথ বিশ্বাস, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো.অলিমুর রহমান, পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি অফিসার শিশির কুমার বড়াল বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা প্রমুখ। কর্মশালায় কৃষিসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ১৭৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।