কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা: কুড়িগ্রামের ধরলা নদীতে মামুন ব্যাপারী (৩৫) নামের এক যুবকের বড়শিতে ১৬ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরা পড়ে। মাছটি বড়শিতে আটকে যাওয়ার পর নদী থেকে ডাঙায় তুলতে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। বুধবার সকালে এটি দেখতে স্থানীয় মানুষ ভিড় জমান। মাছটিকে কেটে পারিবারিকভাবে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেওয়া হয়।
বুধবার কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে ধরলা নদীতে মামুন ব্যাপারীর জালে মাছটি ধরা পড়ে। মামুনের বাড়ি সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের সিতাইঝাড় ব্যাপারী পাড়া গ্রামে। তিনি পাঁছগাছী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আমির হোসেন ব্যাপারীর ছেলে।
মামুন বলেন, ‘বুধবার ভোরে ধরলা নদীতে ৯টি বড়শি ফেলি। আমার সঙ্গে ছিল প্রতিবেশী আতিকুল, সফিকুল ও সাজু নামে আমার তিন বন্ধু। বড়শি ফেলে সবাই গল্পগুজব করছিলাম। এ সময় একটি বড়শিতে বড় মাছ আটকা পড়া বুঝতে পারি। মাছটি বড় আকারের হওয়ায় বড়শি কেটে রেরিয়ে যাওয়ার জন্য ছোটাছুটি করতে থাকে। এ সময় প্রায় ৩ ঘণ্টা মাছে-মানুষে যুদ্ধের পর সকালে বন্ধুদের সহযোগিতায় মাছটিকে নদী থেকে ওপরে তুলতে সমর্থ হই। পরে দেখি সেটি কাতলা মাছ। ওজন মেপে দেখা যায় প্রায় ১৬ কেজি।’
প্রতিবেশী আতিকুল বলেন, ‘মামুন গ্রামের বাড়িতেই থাকে। বড়শি দিয়ে মাছ ধরা তার নেশা। আমরাও মাঝেমধ্যে ওর সঙ্গে বড়শি নিয়ে আসি। আজ তাকে আমরা সঙ্গ দিচ্ছিলাম। হঠাৎ এত বড় মাছ বড়শিতে আটকা পড়তে দেখে আমরা হতভম্ব হয়ে পড়ি।’
পাঁছগাছী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির হোসেন ব্যাপারী বলেন, ‘প্রায় ১৬ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ আমার ছেলে মামুনের বড়শিতে আটকে পড়ে। পরে আমরা তিন ভাই মিলে মাছটি কেটে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নিই।’