মঙ্গলবার , ডিসেম্বর ২৪ ২০২৪

আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়া হবে -কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে বছরে ১ কোটি টনেরও বেশি আলু উৎপাদিত হয়। অথচ বিদেশ থেকে চড়া দামে আলুর চিপস, প্রিঙ্গলস আমদানি করতে হয়। দেশে আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ভ্যালু আ্যাডে জড়িত প্রতিষ্ঠানসমূহকে মানসম্পন্ন চিপস, প্রিঙ্গলস, ফ্রেঞ্চফ্রাই তৈরি করতে হবে। এছাড়া, আলুর বহুমুখী ব্যবহার করে আর কি কি প্রোডাক্ট বানানো যায়- তা খুঁজে বের করতে হবে।

মন্ত্রী রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আলুর ভাল জাতের অভাব এতদিন আলু রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বড় বাধা ছিল। ইতোমধ্যে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে। এছাড়া, আলুর জাত অবমুক্তিতে আগে নিবন্ধন লাগত, সেটিকে আমরা উন্মুক্ত (নন-নোটিফাইড) করে দিয়েছি। ফলে প্রাইভেট সেক্টরও কিছু উন্নত জাত নিয়ে এসেছে। মাঠে এ জাতগুলোর সক্ষমতা, উৎপাদনশীলতা, গুণাগুণ, ড্রাইমেটারের উপস্থিতি বেশি প্রভৃতি ভাল ফলাফল পাওয়া গেছে। জাত নিয়ে আর সমস্যা থাকবে না।

ড. রাজ্জাক আরো বলেন, অন্য আরেকটি প্রতিবন্ধকতা হলো নিরাপদ ও রোগমুক্ত আলুর উৎপাদনের নিশ্চয়তা প্রদান। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে উত্তম কৃষি চর্চা নীতিমালা (জিএপি) প্রণীত হয়েছে। টেস্টিং সুবিধা বাড়ানোর জন্য ঢাকার শ্যামপুরে একটি ল্যাব নির্মিত হয়েছে, এটির আধুনিকায়ন চলছে। পূর্বাচলে আরেকটি আধুনিক ল্যাব নির্মিত হবে।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে আলু খুবই সম্ভাবনাময় একটি ফসল। আবহাওয়া ও মাটি আলুচাষের অনুকূল। আলুর বাজার ও চাহিদা বাড়াতে পারলে উৎপাদন অনেকগুণে বাড়ান সম্ভব। এ বছর আলুর দাম কম। কৃষক ও কোল্ড স্টোরেজের মালিকেরা আলু বিক্রি নিয়ে উদ্বিগ্ন অবস্থায় রয়েছে। সেজন্য ফ্রেশ আলু ও প্রক্রিয়াজাত করে দেশে বিদেশে বাজার বিস্তৃত করতে হবে।

প্রাইভেট সেক্টরকে জিএপি বাস্তবায়ন করে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর মাধ্যমে আলু উৎপাদন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। এসময় কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থাপ্রধান, ফুড প্রোডাক্টস প্রস্তুতকারী/প্রক্রিয়াজাতকারী কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং আলু ও শাকসবজি রপ্তানিকারক সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় সভায় জানান হয়, দেশে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১ কোটি ৬ লাখ টন আলু উৎপাদিত হয়েছে। রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫৫ হাজার টন, যার মূল্য প্রায় ৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

This post has already been read 3370 times!

Check Also

বৈষম্যমুক্ত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতে কৃষিকে গুরুত্ব দিতে হবে -কৃষি উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন,  বৈষম্যমুক্ত অর্থনৈতিক উন্নয়ন …