বুধবার , নভেম্বর ২৭ ২০২৪

তলাবিহীন ঝুঁড়ির বাংলাদেশ আজ খাদ্যে পরিপূর্ণ – কৃষিমন্ত্রী

বুধবার ( ২২ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার কেআইবি মিলনায়তনে মুজিব শতবর্ষে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও নাট্যানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি।

নিজস্ব প্রতিবেদক: তলাবিহীন ঝুঁড়ির বাংলাদেশ আজ খাদ্যে পরিপূর্ণ এবং দেশে কেউ না খেয়ে থাকে না- বিজয়ের ৫০ বছরে এটিই সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, এমপি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসাবে পরিচিত ছিল। স্বাধীনতার পর ৭ কোটি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ছিল না। আর এখন প্রায় ১৭ কোটি মানুষের দেশে খাদ্যের কোন ঘাটতি নেই।

বুধবার ( ২২ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তনে মুজিব শতবর্ষে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও নাট্যানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষির উন্নয়ন ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। দেশে কৃষি বিপ্লবের সূচনা করেন। সেই ভিত্তির উপর ভর করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলেই কৃষিতে আজকে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলা হয়েছিল, বলা হয়েছিল বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে টিকে থাকবে না বা থাকলেও চিরদিন পরনির্ভরশীল  হয়ে থাকবে, তা আজ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এটিই সবচেয়ে বড় সাফল্য।

সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ও বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেন, আমি মঙ্গা এলাকার মানুষ। দেখেছি, ২০০৪ সালেও আমার এলাকায় মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। আজ সেই এলাকায় মঙ্গা  নেই, মঙ্গা শব্দটিও উচ্চারিত  হয় না। ভবিষ্যতে এটি শুধু অভিধানে পাওয়া যাবে। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্য।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, বাংলাদেশের আদালত একটা রায়ে জিয়াকে ঠাণ্ডা মাথার খুনী হিসেবে ঘোষণা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড জিয়ার নামে একটি রাস্তা ছিল, এ রায়ের পর সে দেশের সরকার নামটি পরিবর্তন করে। জিয়াউর রহমান এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি শুরু করেন, পরবর্তীতে বিএনপি সরকার সেই সংস্কৃতি ধরে রাখে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার। আলোচনা সভা শেষে সৈয়দ শামসুল হক রচিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নাটক ‘ পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ মঞ্চস্থ হয়।

This post has already been read 3111 times!

Check Also

জুনোটিক ডিজিজে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ  -জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুনোটিক ডিজিজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্হান অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ উল্লেখ করে মিস. গোয়েন লুইস বলেছেন, …