নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদেশে টাকা পাচার রোধে বাংলাদেশ কাস্টমসকে আরো জোরাল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনি বলেন, প্রতি বছর দেশ থেকে বিপুল অংকের টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ দুর্নীতি, কর ফাঁকি, কর জালিয়াতিসহ নানাভাবে বিদেশে টাকা পাচার করছে। এ পাচার রোধে কাস্টমসের কর্মকর্তাদের ন্যায় নীতির ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। যাতে কোনক্রমেই কেউ বিদেশে টাকা পাচার করতে না পারে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কাস্টমসের ডিজিটাইজেশন বিরাট ভূমিকা রাখতে পারবে।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের উন্নয়নের অর্থ আসে কর, ভ্যাট, কাস্টমস থেকে। এক সময় দেশের বাজেট অনেকটা বিদেশি সাহায্যের উপর নির্ভরশীল ছিল। বাজেটের ১৫-২০% ছিল সাহায্যনির্ভর, এখন তা কমে মাত্র ২-৩% এসে দাঁড়িয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে কারণ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে আমাদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে, আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য অসাধারণ অর্জন ও সাফল্য।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এবছর আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের প্রতিপাদ্য ‘তথ্য-সংস্কৃতি বিকাশ এবং তথ্য-ইকোসিস্টেম বিনির্মাণের মাধ্যমে ডিজিটাল কাস্টমসের সম্প্রসারণ’ এর উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমদানি-রপ্তানী বাণিজ্যে কাস্টমস পদ্ধতি অটোমেশনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উন্নত সেবা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকল্পে কাস্টমস প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল পদ্ধতি প্রবর্তন, ASYCUDA World ও অন্যান্য সহযোগী Software এর মাধ্যমে আধুনিকায়ন কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে Data Ecosystem প্রবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে, Data Culture অর্থাৎ তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থার মাধ্যমে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কাস্টমস পরিবেশকে যেমন গতিশীল ও ন্যায়ানুগ করেছে, অন্যদিকে তা রাজস্ব আহরণের অগ্রগতিতে সহায়ক হয়েছে। ফলে, এ করোনা মহামারি এবং তৎপরবর্তী সময়েও রাজস্ব বৃদ্ধির প্রবণতা অর্থনৈতিক কাঠামোকে একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করেছে।