রবিবার , নভেম্বর ২৪ ২০২৪

নাটোরের ভাই-ভাই ট্রেডার্সের ৫ হাজার মণ কাঁচাপাট আটক

নাটোর সংবাদদাতা: নাটোরের গুরুদাশপুরে প্রায় ৫ হাজার মণ কাঁচাপাট আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) উপজেলার নাজিরপুর বাজারের ভাই-ভাই ট্রেডার্স নামক গুদামে  নিয়মবর্হিভূতভাবে মজুদকৃত উক্ত পরিমান কাঁচাপাট আটক করা হয়। পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতি:সচিব) হোসেন আলী খোন্দকার ও  নাটোর জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালিত হয় । অভিযানে নাটোরের গুরুদাশপুর উপজেলার নাজিরপুর বাজারের বিভিন্ন পাটের গুদামে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচা‍লিত হয়।

অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাট সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানির ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে নিয়মবর্হিভূত কাঁচাপাট মজুদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে পাট অধিদপ্তর ।

সম্প্রতি, দেশে কাঁচাপাটের সংকট তৈরীর কারণে পাটকলসমূহ উৎপাদন ঝুঁকিতে পড়েছে। এ অবস্থায় পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে । লাইসেন্স বিহীন অসাধু ব্যবসায়ীগণ,কাঁচাপাটের ডিলার/আড়তদারগণ ১০০০ মণের বেশী কাঁচাপাট ০১ (এক) মাসের বেশীসময় ধরে মজুদ করতে পারবে না  এছাড়াও লাইসেন্স বিহীন  কাঁচাপাট ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ হতে বিরত রাখা; ভিজাপাট ক্রয়-বিক্রয় রোধ করা; বাজারে কাঁচাপাটের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পাট অধিদপ্তর  কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ।

এছাড়াও, চলতি পাট মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, পাট চাষ নিশ্চিতকরণে বীজ সরবরাহ সঠিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মানসম্মত পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে পাঁচবছরের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে । সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত পাটবীজ উৎপাদনে স্বনির্ভর হবে। প্রয়োজনীয় পাটবীজ সংগ্রহে আমদানি নির্ভরতা আর থাকবে না। এ পাট মৌসুম থেকে রোডম্যাপ বাস্তবায়ন শুরু হবে।  ধাপে ধাপে তা আগামী পাঁচবছরে শতভাগ বাস্তবায়ন করা হবে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় উচ্চফলনশীল পাট বীজ উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জন এবং মানসম্মত পাট উৎপাদনে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধকরণ ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসুচি (এডিপি)-এর আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর প্রত্যক্ষভাবে ১,৫৩,০০০ পাটচাষী ও পরোক্ষভাবে ৬,১২,০০০ কৃষক ও পরিবারের সদস্য উপকৃত হচ্ছে।

This post has already been read 3487 times!

Check Also

‘সারাদেশে পাটের প্রচলন বাড়াতে হবে – উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক :  ‘সারাদেশে পাটের প্রচলন বাড়াতে হবে। আগামী মাস থেকে দেশের সুপারশপগুলোতে পাটের ব্যাগ …