নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশের পরিবেশের সার্বিক মান উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। জনগণের সহযোগিতায় সামাজিক ও উপকূলীয় বনায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ ২৪ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০২২ এবং ১ মাসব্যাপী জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২২ আয়োজন করা হবে।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০২২ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২২ উপলক্ষ্যে কর্মসূচি প্রণয়ন ও তার সফল বাস্তবায়নার্থে বুধবার (১৬ মার্চ) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বনমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে টিলা কাটা, পলিথিন-প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে এবং অধিক পরিমাণে বৃক্ষরোপণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে কাজ করতে হবে। তিনি জানান, পরিবেশের উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপণে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মেলার উদবোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিবেশ পদক, বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ও বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পদক প্রদান করা হবে।
সভায় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মোঃ মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) কেয়া খান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল হামিদ, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/দপ্তর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৫ জুন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদবোধনী অনুষ্ঠান এবং সংলগ্ন মাঠে মাসব্যাপী বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে পরিবেশ অধিদফতর ও বন অধিদফতর ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করছে। পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের পাশাপাশি মোবাইল ফোনে পরিবেশ বিষয়ক বার্তা পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান, স্থাপনা ও সড়কে পরিবেশবান্ধব প্রচার সামগ্রী স্থাপন করে পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব এবং গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণা চালানো হবে।