মো. আমিনুল ইসলাম (রাজশাহী) : ২০২১-২২ অর্থ বছরে বাস্তবায়িত কার্যক্রমের মূল্যায়নের ভিত্তিতে তানোর উপজেলার বিজয় কুমার প্রামাণিক শ্রেষ্ঠ বীজ উৎপাদনকারী হিসেবে প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছেন। কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পে’ও আওতায় মঙ্গলবার (২৪ মে) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ হলরুমে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মোজদার হোসেন এর সভাপতিত্বে সেরা এসএমই’দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ মো. শামিম আশরাফ উপস্থিত থেকে বিজয়ীদেও মাঝে সনদপত্র ও পুরষ্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভালো ও বেশি ফসল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণের প্রথমটিই হলো ভালো বীজ। এই বীজের গুনাগুণ সাফল্য জনকভাবে ফসল উৎপাদনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে। কেবলমাত্র উন্নতমানের বীজ ব্যবহার করেই শস্যেও উৎপাদন ১৫-২৫% বাড়ানো সম্ভব। তবে অনেক ফসলের ক্ষেত্রে তা আরো বেশী। তাই খাদ্য নিরাপত্তার জন্য মানসম্পন্ন বীজের ব্যবহার সুনিশ্চিত করা আজ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, মানসম্পন্ন বীজ পেতে হলে বীজের জাত নির্বাচন, উৎপাদন প্রক্রিয়াজাত করণ ও সংরক্ষণ বিষয়ক প্রযুক্তি সম্পর্কে আমাদের কৃষকদেও জ্ঞান লাভ প্রয়োজন।তা ই বর্তমান সরকার কৃষকের জন্য মানসম্মত বীজ স্থানীয়ভাবে প্রাপ্তি বৃদ্ধিও লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি গত ৪ (চার) বছর ধওে সফলভাবে কাজ কওে যাচ্ছে। তরুণ কৃষক বিজয় সেই সফলতার উদাহরণ স্বরূপ নিজেকে বীজ উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমাদের দেশে নিরাপদ ও বেশি ফসল উৎপাদনের জন্য বক্তারা উপস্থিত কৃষকদেও অনুরোধ জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জেলার ছিয়াশি (৮৬) জন এসএমই বীজ উদ্যোক্তা উপস্থিত ছিলেন।