ফকির শহিদুল ইসলাম (খুলনা) : পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় নগরীর জোড়াগেট বাজার চত্বরে কোরবানির পশুর হাট শুরু হয়েছে। সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক রবিবার বেলা ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে এবং বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পশুর হাটের শুভ সূচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে কেসিসি কর্তৃক পরিচালিত পশুর হাটটি এতদাঞ্চলের মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনাই এর মূল কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও ঈদ-উল-আযহা পরবর্তী সময়ে নগরীর পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে চাই। এ লক্ষ্যে নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই এবং যত্রতত্র পশুবর্জ্য না ফেলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান। একই সাথে পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে যেন কোন প্রকার ব্যত্যয় না ঘটে সেজন্য তিনি কঞ্জারভেন্সী বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। সিটি মেয়র শিশু ও প্রবীন ব্যক্তিদের হাটে আগমনের বিষয়ে নিরুৎসাহিত করেন এবং মাস্ক পরিধানসহ সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের ওপর কঠোরভাবে গুরুত্বারোপ করেন।
হাট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর মো. শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (নর্থ) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন ও খুলনার এডিশনাল এসপি এস এম রাজু আহমেদ। কেসিসি’র মেয়র প্যানেলের সদস্য মো. আলী আকবর টিপু ও মেমোরী সুফিয়া রহমান শুনু, হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কাউন্সিলর ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, কাউন্সিলর মো. সাইফুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ আলী, মো. ডালিম হাওলাদার, এমডি মাহফুজুর রহমান লিটন, মুন্সী আব্দুল ওয়াদুদ, মো. হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, মো. গোলাম মাওলা শানু, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মনিরা আক্তার, শাহিদা বেগম, পারভীন আক্তার, শেখ আমেনা হালিম বেবী, কনিকা সাহা, মাজেদা খাতুন, সচিব মো: আজমুল হক এবং খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) লস্কার তাজুল ইসলাম। কেসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী মো. মনজুরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন কুমার হালদার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরীফ শাম্মিউল ইসলাম, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অরুন কান্তি মন্ডল, কেসিসি’র সিনিয়র ভেটেরিনারি অফিসার ডা. মো: রেজাউল করিম, ভেটেরিনারি সার্জন ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস, কঞ্জারভেন্সী অফিসার মো. আনিসুর রহমান, সহকারী কঞ্জারভেন্সী অফিসার নুরুন্নাহার এ্যানী, বাজার সুপার এম.এ মাজেদ মোল্লা প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
কেসিসি পরিচালিত কোরবানির পশুর হাটে র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে হাটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ ও ব্যাংক বুথ স্থাপন এবং কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে হাসিল আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া হাটে আগতদের চিকিৎসা ও পশু চিকিৎসার ব্যবস্থা, খাবার হোটেল, পাবলিক টয়লেটসহ সকল সুব্যবস্থা রয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকল্পে মাক্স ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা এবং হাটের প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত হাট চলমান থাকবে।