আশিষ তরফদার (পাবনা) : সামাজিক বন বিভাগ পাবনার উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ৭ দিন ব্যাপী (২৫-৩১ জুলাই) বৃক্ষ রোপন অভিযান ও বৃক্ষ মেলা বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম চত্বরে শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সোমবার (২৫ জুলাই) পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন -এর নেতৃত্বে সকাল ১০ টায় বর্নিল সাজে বর্ণাঢ্য র্যালী, আলোচনা সভা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
পাবনা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফরোজা আক্তার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ৭দিন ব্যাপী মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম লাল।
শুরুতে বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলার তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাশ্যপী বিকাশ চন্দ্র বিভাগীয় বন কর্মকতর্,া সামাজিক বন বিভাগ, পাবনা। তিনি এবারের প্রতিপাদ্য “ বৃক্ষরোপনের প্রকৃতি প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ” এর আলোকে সামাজিক বনায়নের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজনীয়তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি বর্তমান সরকারের বৃক্ষরোপন কর্মসুচীকে স্বার্থক করতে বাড়ীর আশেপাশে যে কোন ফাকা জায়গায় ফলদ বনজ ও ঔষুধি বৃক্ষের চারা কমপক্ষে দুটি করে রোপন করার জন্য উপস্থিত সুধীজনসহ ছাত্র-ছাত্রীর অনুরোধ জানান।
আলোচনায় জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুর রহিম লাল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. সাইফুল আলম, সাংবাদিক আব্দুল হামিদ খাঁন ও নার্সারী মালিক সমিতির সভাপতি মো. কামাল হোসেন অংশ নেন। বক্তাগণ তাঁদের নিজ নিজ বক্তব্যে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপনের গুরুত্ব, বৃক্ষের চারা রোপন ও রোপিত বৃক্ষের যতœ-পরিচর্যা, আয়বর্ধন ও বাহারী বৃক্ষ রোপন, ছাঁদ কৃষি ও ছাদ বাগান স্থাপনে কি করনীয় ইত্যাদি বিষয়ের উপর বক্তব্য তুলে ধরেন।
উদ্বোধনীর সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বৃক্ষরোপন অভিযানে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে বলেন, ছাত্র-ছাত্রীরাই এ দেশের ভবিষ্যৎ, দেশের জন্যই এদেরকে ভুমিকা নিতে হবে। বেশী বেশী করে গাছ লাগানোর জন্য পিতা-মাতার পাশাপাশি নিজেদেরকে কমপক্ষে ২/১টি করে গাছ লাগানোর অগ্রনী ভূমিকা নিতে হবে। তিনি উপস্থিত সকলকে নিজের জন্য,বাচার জন্য , পরিবারের জন্য এ মৌসুমে যে কোন ধরনের ২/১টি করে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানোর অনুরোধ জানান।
৭দিন ব্যাপী মেলায়, মতিন নার্সারী, রিতু নার্সারী, রিয়াদ নার্সারী, পাশা নার্সারী, বন বিভাগ, কৃষি বিভাগসহ মোট ২৮টি স্টল অংশগ্রহণ করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারী, বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকগন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক , গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও আর্দশ কৃষকসহ সহস্রাাধিক জন উপস্থিত ছিলেন।