বুধবার , ডিসেম্বর ১৮ ২০২৪

অর্থনীতিকে স্বস্তিতে রাখতেই তেলের দাম বৃদ্ধি -কৃষিমন্ত্রী

কুমিল্লা সংবাদদাতা: বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে দেশের অর্থনীতিকে সহনশীল ও স্বস্তির মধ্যে রাখতেই তেলের দাম বাড়াতে সরকার বাধ্য হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। একইসাথে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম আরও কমলে দেশেও তেলের দাম কমানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রবিবার (৭ আগস্ট) সকালে কুমিল্লা শহরের শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সিলেট, কুমিল্লাসহ পাহাড়ি অঞ্চলে তেল ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক কর্মশালা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এ কর্মশালার আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, দেশে তেলের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক সংকট দায়ী। এই সংকটের কারণে সারা পৃথিবীতেই অর্থনীতি অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। দেশে এ অস্থিরতা মোকাবেলা করার জন্য সরকার তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। তেলে এতো ভর্তুকি দিলে আমাদের ফরেন রিজার্ভ অনেক কমে যাবে, তখন সারা জাতি হুমকির মধ্যে পড়বে। তারচেয়ে বর্তমানে সাবধান হওয়া ভাল, সাশ্রয়ী ও কৃচ্ছ্রসাধন করা ভাল। বর্তমানে একটু কষ্ট সাময়িকভাবে মেনে নিয়ে যাতে আমরা সাবধান হই। দেশটাকে তো আমরা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। সেজন্য, সরকার তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে যাতে তেলের ব্যবহার কিছুটা হলেও কমে এবং আমরা যাতে শ্রীলঙ্কার মতো বিপর্যয়ে না পড়ে সহনশীল অবস্থায় ও টিকে থাকতে পারি।

তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে কৃষিতে প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়েনি, ফলে বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্রে কোন সমস্যা হবে না। তবে সার্বিকভাবে কৃষিতে কিছুটা প্রভাব পড়বে। কৃষি উৎপাদন কমবে না, তবে কৃষকের লাভ কমে আসবে। বিশ্বপরিস্থিতির কারণে একটু কষ্ট হলেও, আমাদর সবাইকে সম্মিলিতভাবে তা মোকাবেলা করতে হবে।

পরে কর্মশালায় প্রদত্ত বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, সিলেট ও পাহাড়ি অঞ্চলে অনেক জমি পতিত থাকে। দেশে খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে কোনক্রমেই এসব জমি পতিত রাখা যাবে না। পাশাপাশি ধানের উৎপাদন না কমিয়ে বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তেল ফসলকে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য, কৃষি কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।

কৃষিসচিব মো: সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজীর আলম,  বিএডিসির চেয়ারম্যান এএফএম হায়াতুল্লাহ, বারির মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

This post has already been read 2407 times!

Check Also

মালদ্বীপের সাথে শীঘ্রই বাংলাদেশের সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হবে- নৌপরিবহন উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন …