বুধবার , ডিসেম্বর ১৮ ২০২৪

দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে -মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী  

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশকে অস্থিতিশীল করার সব ধরনের ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ বুধবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিপর্যস্ত-বিপন্ন বাংলাদেশ যখন উন্নয়নের রোল মডেল তখন আবার দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আবার একটি দুর্নীতিবাজ, স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েমের চেষ্টা চলছে। একবার আল জাজিরা কাহিনী শুরু করা হয়েছিল। এখন আবার আয়না ঘর দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে যাদের গণ্য করা হয় সে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ সময় ঐক্যবদ্ধভাবে শেখ হাসিনাকে সব ষড়যন্ত্র থেকে মুক্ত রাখতে হবে। কারণ শেখ হাসিনা না থাকলে সমৃদ্ধ, আধুনিক ও মুক্তিযুদ্ধের এ বাংলাদেশ থাকবে না।

বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সাংগঠনিকভাবে যে ভূমিকা রাখার কথা ছিল সে ভূমিকা আমরা রাখতে পারিনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে না থাকলে আওয়ামী লীগ আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারত না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতো না, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দাম্ভিকতা চূর্ণ হতো না, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের বিচার হতো না, লাল-সবুজের পতাকাকে শ্রদ্ধা জানানো হতো না, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে আনা হতো না। শেখ হাসিনা ফিরে না আসলে বাংলাদেশ নাম থাকলেও এ দেশ পূর্ব পাকিস্তানের চেয়ে কট্টর সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হওয়ার শঙ্কা ছিল।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনা হঠাৎ করে ঘটেনি। এটি ছিল পরিকল্পিত একটি হত্যাকান্ড। বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের আমরা বিচারের মুখোমুখি করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনা জানার পর যারা প্রতিরোধের দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অথবা রাজনৈতিক নেতৃত্ব তারা দায়িত্ব পালন করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার বেনিফিশিয়ারি যারা ছিল, হত্যার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও ঘটনায় তারা যে যুক্ত ছিল, সেটা আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু হত্যার যে খন্ডিত বিচার হয়েছে, এ খন্ডিত বিচার থেকে আত্মতুষ্টির কারণ নেই।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ‘গো অ্যাহেড’ বলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার মাত্র নয় দিনের মাথায় তিনি হয়ে সেনা প্রধান হয়েছিলেন। তিনি যে নাটের গুরু, তিনি যে মাস্টারমাইন্ড, তিনি যে ষড়যন্ত্রকারী সে সময় সেটা আস্তে আস্তে দৃশ্যমান হয়ে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্তে গঠিত আন্তর্জাতিক কমিশনকে বাংলাদেশে আসতে দেয়নি জিয়া। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না এ আইন করেছে জিয়াউর রহমান। বাঙালি জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে, খুনিদের পৃষ্ঠপোষকতা, প্রতিষ্ঠা ও পুনর্বাসনে এবং মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ ধ্বংস করে দেওয়ায় সবচেয়ে বড় কাজ করেছে জিয়াউর রহমান। তাকে সহায়তা করেছিল দেশি-বিদেশি চক্র।

খুলনা জেলা সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা এর সাধারণ সম্পাদক সাজু রহমানের সঞ্চালনায় ও সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদান করেন নিউজ টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের নির্বাহী সম্পাদক ও খুলনা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি রাহুল রাহা, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, বৃহত্তর খুলনা সমিতির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কুর আলী শুভ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, সাবেক সহসভাপতি আজমল হক হেলাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদুর রহমান জিহাদ প্রমুখ। খুলনা জেলা সাংবাদিক ফোরামের সদস্যবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

This post has already been read 2392 times!

Check Also

ময়মনসিংহে তারুণ্যের সভায় মাদকমুক্ত জীবনের শপথ

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা: উন্নত সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার পথে অবদান রাখতে মাদকমুক্ত জীবনের শপথ নিয়েছে ময়মনসিংহের …