মোছা. সুমনা আক্তারী (রাজশাহী) : রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলায় সফল কৃষি উদ্যোক্তা মো. আব্দুল লতিফ যোগি পাড়া ইউনিয়নে ২ বিঘা জমিতে প্রায় ২০০টি দার্জিলিং কমলা রোপন করেন ৩ বছর হলো। প্রতি গাছে গড়ে প্রায় ২০কেজি কমলা ধরেছে, কমলাগুলো সুমিষ্ট, তবে গাছ থেকে পাড়ার ২-৩ দিন পরে খেলে বেশি মিষ্টি হয়। কমলার কোয়াগুলো রসালো টসটসে, তাই খুবই আকর্ষণীয়। তাছাড়া, কমলার আঁশ কম হওয়াতে খোসা খুব সহজে ছাড়ানো যায়। প্রথমদিকে আব্দুল লতিফ কমলাগুলো বাজারে বিক্রি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। বর্তমানে দার্জিলিং এই কমলার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি দার্জিলিং কমলার পাশাপাশি ৭ বিঘায় থাই পেয়ারা বাগানের সঙ্গে সাথী ফসল হিসাবে ড্রাগন ও পাতাকপি চাষ করেন। এছাড়া ও তার ২ বিঘায় এলাচি লেবু ও অর্টানিক মাল্টা, বল সুন্দরী কুল সহ ভুট্টা, পেঁয়াজ ও আলুর মাঠ রয়েছে।
কমলা চাষি মো. আব্দুল লতিফ বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ফল চাষ শুরু করেন। পরবর্তিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ফল চাষ করে ১০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে, কমলা চাষে সাফল্য পেয়ে চলতি মৌসুমে উৎপাদিত কমলা পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। ফরমালিনমুক্ত কমলা খেতে সুস্বাদু হওয়ায় জমি থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। আগামী বছরে নিরাপদ সাইট্রাস জাতীয় ফল দার্জিলিং কমলা, এলাচি লেবু অর্টানিক মাল্টা, বল সুন্দরী কুল চাষে জমির পরিমান বাড়াবো বলে মনে করি।
তিনি জানান, কমলার বাগান করতে তেমন কষ্ট করতে হয় না। তবে জমির চারপাশে ভালো করে বেড়া তৈরি করতে হয়। ৩ বছর পর একটি গাছ ফল ধরার জন্য পরিপূর্ণতা লাভ করে। প্রতিটি গাছ থেকে আসা করি ৭ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত ভালোভাবে ফল পাবো। এ ছাড়া অনাবৃষ্টির সময়ে গাছে সেচ প্রদান করি। আগাছা পরিষ্কার করে থাকি। গাছে ফল এলে ভোমরামাছিসহ বিভিন্ন পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা করার জন্য সর্বদা নজর রাখি।
বাগমারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আব্দুল লতিফের বাগানের কমলার স্বাদ ভালো। আমরা চেষ্টা করছি সম্ভাবনাময় এই কমলার চাষকে সম্প্রসারণ করতে। ইতিমধ্যে অনেক কৃষক কমলা চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।’