গাজীপুর সংবাদদাতা: এসএমই ফাউন্ডেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য বেশি বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা তৈরি করা। এতে করে যেমন নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে তেমনি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে শস্য সংগ্রহোত্তর ক্ষতি কমানো যাবে। আমাদের অনেক প্রক্রিয়াজাত পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। দেশে এসব পণ্যের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি করা গেলে আমাদের যেমন আমদানি খরচ কমবে তেমনি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে দীর্ঘদিন খাদ্যের পুষ্টি গুণাগুণ অক্ষুন্ন রাখা যাবে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর)বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সহযোগিতায় কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বারি’র পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সেমিনার কক্ষে উক্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে আয়োজিত ১৩-১৪ ডিসেম্বর দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত কৃষি পণ্য উৎপাদনকারী ২০ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করছেন।
সকালে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এর সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম। পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব শাহনাজ পারভীন এর সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান জনাব মো. হাফিজুল হক খান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, দেশে দিন দিন কৃষি জমি কমলেও জনসংখ্যা বাড়ছে। তাই আমাদের লক্ষ্য গতানুগতিক কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করা। এজন্য আমাদের বিভিন্ন ধরনের কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্যে ভ্যালু এডিশনের মাধ্যমে নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করতে হবে। পাশাপাশি যেসব প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদন হবে, খেয়াল রাখতে হবে তা যেন অবশ্যই নিরাপদ হয়।