তুষার কুমার সাহা: কুমারখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে “ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ” প্রজেক্ট (এনএটিপি-২) এর আওতায় রবি/২০২২-২৩ অর্থবছরে বাস্তবায়িত সরিষা প্রদর্শনীর উপর এক মাঠ দিবস কুমারখালী উপজেলার সাদীপুর শেখপাড়া মোড়ে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়।
সরিষা ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করাই ছিল মাঠ দিবসের মূল উদ্দেশ্য। মাঠ দিবসে কুমারখালী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জনাব দেবাশীষ কুমার দাস এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়াস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. হায়াত মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ জনাব মো. ওয়াহিদুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জনাব সবুজ কুমার সাহা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খোকসা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে সরিষা জাতের বৈশিষ্ট, জীবনকাল ও চাষাবাদ সর্ম্পকে আলোচনা করেন। মাঠ দিবসের মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন বাড়াতে কৃষক-কৃষানীদের সচেতন করা হচ্ছে বলে তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ প্রতি ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে সেই লক্ষ্যে সকলকে একাগ্রতার সাথে কাজ করতে হবে। ধান করি আমরা বেচে থাকার জন্য কিন্তু কৃষিকে বাণিজ্যিক রুপ দিতে হলে পরিকল্পিতভাবে আমাদের “ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম ফেজ” প্রজেক্ট (এনএটিপি-২) এর আওতায় রবি/২০২২-২৩ অর্থবছরে বাস্তবায়িত সরিষা প্রদর্শনীর সরিষার চাষ করা হয়েছে। এরমধ্যে উচ্চ ফলনশীল বারি-৯ ও বারি-১৪ জাতের সরিষা বেশির ভাগ জমিতে লাগানো হয়েছে। আশা করা যায় ফলনও ভালো হবে। পাশাপাশি কৃষক তার উৎপাদিত সরিষার ভাল দাম পাবেন বলেও জানান। বারি সরিষা-১৪ বপনের উপযুক্ত সময় হলো মধ্য আশ্বিন থেকে মধ্য কার্তিক (অক্টোবর), ফলনের গুণগত বৈশিষ্ট্য গোল ও রং হলুদ, শুটি ৪ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট। ৩.৫-৩.৮গ্রাম বীজে তেলের পরিমাণ ৪৩-৪৪%। ফলন আশাব্যঞ্জক হওয়ায় কৃষকের জন্য এ জাতের চাষ খুবই লাভজনক বলে উপস্থিত কৃষক-কিষানীদের এর আবাদ বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানের পরে প্রদর্শনী সরিষা প্লটে আগত চাষীদের দেখানো হয়। আগত চাষীদের সকলেই ভালো জাতের সরিষা আবাদের সম্মতি জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে উপসহকারী কর্মকর্তাসহ প্রায় শতাধিক কৃষক/কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চলনা করেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম।