শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

পুষ্টিহীনতা দূর করতে জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধানের আবাদ বাড়ানোর আহবান খাদ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক রাইসের মাধ্যমে দেশের মানুষের জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এসময় তিনি পুষ্টিহীনতা দূর করতে জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধানের আবাদ বাড়াতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁও এ পর্যটন কনফারেন্স হলে “বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক রাইস অ্যাওয়ার্ড সিরিমনি ২০২২”  অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন,দেশের অধিকাংশ মানুষ বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক সমৃদ্ধ চাল সম্পর্কে বা এর গুণগুণ সম্পর্কে মোটেই সচেতন নন এবং তাঁরা এই জিঙ্ক সমৃদ্ধ চাল বা ধান সম্পর্কে জানেনও না। এসময় তিনি জিঙ্ক সমৃদ্ধ চালে ভোক্তাকে আকৃষ্ট  করতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

আজকাল আমরা রাসয়নিক ফর্মুলায় তৈরি করা জিঙ্ক খাচ্ছি কিন্তু ভাতের মাধ্যমে যে এই উপাদানটি আমরা প্রাকৃতিকভাবে পেতে পারি তা জানি না। এই বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরী করা দরকার।

তিনি আরো বলেন,দেশের মিলাররা ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী চিকন চাল তৈরি করে বাজারে সরবরাহ করে থাকে।  কারণ গ্রাহকরা জিংক চালের জন্য উৎসাহ দেখান না এবং কৃষকরাও এই ধান চাষ করতে আগ্রহী হন না। কারণ জিঙ্ক সমৃদ্ধ ধানের চাল একটু মোটা হয়ে থাকে। গ্রাহক বা ভোক্তা চিকন আর চকচকে চাল পছন্দ করে।

তিনি আরো বলেন, সাধারণ চালেও পুষ্টি থাকে তবে চাল চিকন করতে গিয়ে পুষ্টির অংশ ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। সারাদেশে বছরে ৪ কোটি টন ধান ক্রাসিং হয়। মিলাররা বলেন চাল চিকন করতে গিয়ে ৪-৫ শতাংশ হাওয়া হয়ে যায়। সে হিসেবে বছরে ১৬ লাখ টন চাল হাওয়া হয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায়। এটা না করলে বিদেশ থেকে হয়তো চাল আমদানি করতে হতো না।

দেশে খাদ্য ঘাটতি হবে না দুর্ভিক্ষও হবেনা। অযথা আতংকিত না হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সচেতন আছি, দেশে পর্যাপ্ত ধান চালের মজুত রয়েছে।কেউ অবৈধ মজুদ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দেন সাধন চন্দ্র মজুমদার।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হেসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক মো. সাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আহম্মদ, হার্বেস্টপ্লাসের কান্ট্রি ডিরেক্টর এ কে এম খায়রুল বাশার,খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন,গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রেশন (গেইন) এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. রুদাবা খন্দকার,পোর্টফলিও লীড ড. আশেক মাহফুজ,মিলার প্রতিনিধি মোতাহার হোসেন এবং কৃষক প্রতিনিধি আইয়ুব নবী বক্তৃতা করেন।

অনুষ্ঠানে বায়োফর্টিফাইড জিঙ্ক রাইস উৎপাদন,প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১১ জন কৃষক,৩জন রাইস মিলার ও ১০ জন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

গেইন ও হার্বেস্টপ্লাসের সহযোগিতায় খাদ্য অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

This post has already been read 2507 times!

Check Also

আন্তর্জাতিক ওয়ান হেলথ ডে উদযাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, …