শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

ঢাকায় ‘এনআরবি প্রফেশনালস সামিট-২০২২’ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে, বাংলাদেশী বংশড়ুত প্রবাসী নাগরিকদের দেশের প্রতি কর্তব্যপরায়ন হওয়ায় উৎসাহিতকরণ ও দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে এবং দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ থেকে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে এনআরবি ওয়ার্ড গ্যাসোসিয়েশন, ইউএসএ এবং এনকেসফট কর্পোরেশনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) ঢাকার শেরাটন হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো ‘এনআরবি প্রফেশনালস সামিট-২০২২’।

প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারীদের সাথে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ, তথ্য; এবং ওষুধ শিল্পের মতো সম্ভাবনাময় খাতের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী এবং নীতিনির্ধারকদের মাঝে মেলবন্ধন তৈরির মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ উন্মোচনের লক্ষ্যে আয়োজিত এই সামিটে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশী, বাংলাদেশী বংশড়ুত বিদেশী নাগরিক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারগণ।

বিকাল ৩ টায় শুরু হওয়া এই সামিটে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনআরবি ওয়ার্ড এ্যাসোসিয়েশন, ইউএসএ এর  চেয়ারম্যান ও এনকেসফট কর্পোরেশন, ইউএসএ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত জন চৌধুরী।     সামিটের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি জানান, এই সামিট স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

দিনব্যাপী কনফারেন্সের প্রধান বক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এমপি। তিনি বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধিতে প্রবাসীদের ভূমিকা শীর্ষক বক্তব্যে স্বাধীনতা পরবর্তী দেশের উন্নয়ন ও বর্তমান সময়ের উন্নয়নের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

তিনি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কৃষির উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। একইসাথে তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানী, খনিজ ও আইসিটির উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন। এছাড়াও স্বাস্থ্যখাতের আধুনিকায়নে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সালমান এফ রহমান।

উক্ত সেশনে কোডার্স ট্রাস্টের কো-ফাউন্ডার ও চেয়ারম্যান আজিজ ইউ আহমেদ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিরা আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী। তাদের মনে বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা ও মমত্ববোধ কাজ করে এবং তারা স্ব স্ব অবস্থানে মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেন বলেই আজ এনআরবি প্রফেশনালস সামিট-২০২২ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই এই সামিট শেষে বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখা ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুখ্যাতি ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাবনা আসে সামিট থেকে। যারা বহির্বিশ্ব বিশেষ করে যেসব দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়ন এবং সম্পর্ককে জোরদার করার প্রয়োজন সেসব দেশের সিনেটর, কংগ্রেসম্যান ও এমপিদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার নিমিত্তে কাজ করবে। ফলে বাংলাদেশের সন্তানদের কল্যাণকর অবদান বিশ্ববাসীর কাছে সমুজ্জ্বল হবে এবং বিদেশীদের কাছে একটি  ও উপকারী জাতি হিসেবে বাংলাদেশীদের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে। এই মর্মে, প্রতি বছর অন্তত দুইবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের নীতি নির্ধারক ও স্টেকহোল্ডারদের সাথে বাংলাদেশের প্রতিনিধি তথা প্রবাসে অবস্থানরত গর্বিত বাংলাদেশীদের বিশেষ মধ্যাহ্ন ভোজ অথবা নৈশভোজের আয়োজন করা হবে। যাতে পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পায় এবং এর মাধ্যমে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। ফলে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মাথা উঁচু করে বসবাস করতে পারবে এবং দেশের প্রবাস গমনে ইচ্ছুক প্রতিটি মানুষ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে বলতে পারবে- ‘আমি একজন গর্বিত বাংলাদেশী”।

একইসাথে প্রবাসীদের কল্যাণ এবং প্রবাসীদের মাঝে দেশপ্রেম জাগ্রত করতেও এই কমিটি কাজ করবে যাতে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি হয় এবং বাংলাদেশ স্বমহিমায় বিশ্বের বুকে নিজের অবস্থান শক্ত করতে পারে। এই উদ্যোগকে বাস্তবায়ন করার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে গঠিত কমিটির প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ইমেজ ইমগ্রুভমেন্ট একশন কমিটি” যারা “বাংলাদেশের উন্নয়ন” শীর্ষক বিশেষ ডায়ালগেরও আয়োজন করবে এবং দেশের সুনাম ও সুখ্যাতির বিস্তারে ইতিবাচক ভূমিকা পালনে সক্রিয় থাকবে।

সামিটের প্রথম সেশন ছিল পাওয়ার এন্ড এনার্জি, অপরচুনিটিস ইন এনার্জি ট্রানজিশন, ক্লাইমেট এডাপশন ত্যান্ড ক্লাইমেট ফিন্যা্স। যেখানে কনফারেন্স চেয়ার ছিলেন মোহাম্মদ হোসাইন, ডিজি, পাওয়ার সেল এবং মডারেটর ছিলেন সাখাওয়াত জন চৌধুরী । ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন এখন বাস্তব এবং সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পার করে বাংলদেশ এখন টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নের দিকে ধাবমান। এমতাবস্থায় স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে সকলের সম্মিলিত কার্যক্রম গ্রহণ করা সময়ের দাবী। বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ এই স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম অনুষঙ্গ। ধাবমান উন্নত বিশ্বের দৌড়ে আমাদের এগিয়ে থাকতে হলে বিশ্বের বিদ্যুতের সংকট কাটিয়ে মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করার লক্ষ্যে সুনিপুণ কার্যকরী পরিকল্পনা প্রণয়ন আবশ্যক। তাই স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট গ্রিডের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত গবেষণা করা সময়ের দাবী। এই লক্ষ্যে“বাংলাদেশ স্মার্ট গ্রিড ফোরাম’ নামক একটি সংঘবদ্ধ প্রচেষ্টা গড়ে তুলতে হবে যারা বাংলাদেশ ও দেশের বাইরের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় তথা এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্বের বন্ধুপ্রতীম ও সফল দেশ থেকে গবেষক দলের সহায়তায় গবেষণা পরিচালনা করবেন। এতে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা যাবে। এই উদ্যোগের ফলে দেশের বিদ্যমান মেধাবী গবেষকদের দক্ষতা উন্নয়ন ঘটবে যারা পরবর্তীতে দক্ষ ও জ্ঞানী প্রজন্ম বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে আর এভাবেই দেশের উন্নয়নের সঠিক মূল্যায়ন হবে কারণ দক্ষ, জ্ঞানী ও সৎ নেতৃত্বের হাতেই দেশ ও দেশের উন্নয়ন নিরাপদ থাকে।

প্যানেল আলোচনায় প্রধান বক্তা ছিলেন প্রফেসর ড. সাইফুর রহমান, প্রফেসর ভার্জিনিয়া টেক, প্রেসিডেন্ট, আইইই এবং প্যানেলিস্ট হিসেবে ছিলেন  সোহাইল হাসনি, প্রিসিপ্যাল এনার্জি স্পেশালিস্ট, সেন্ট্রাল এন্ড ওয়েস্ট এশিয়া ডিপার্টমেন্ট অফ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক,  নিয়াজ রহিম, গ্রুপ ডিরেক্টর রহিমআফরোজ বাংলাদেশ লিমিটেড, ইঞ্জিনিয়ার বিকাশ দেওয়ান, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) প্রতিযোগিতার বিশ্বে দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য।

বক্তারা বলেন, দেশের সুখে দুঃখে দেশকে ধারণ করে এবং দেশের প্রতি মমত্ববোধ থেকে পাশে থাকেন এই প্রবাসীরা। প্রবাসীদের মধ্যে যারা বাংলাদেশী বংশড্ভুত বিদেশী নাগরিক এবং যারা নিজস্ব যোগ্যতায় দেশের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে নিজ নিজ অবস্থানে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলছেন এমন সফল মানুষদের এখন দেশকে দেওয়ার সময়। অন্য অর্থে দেশকে যারা দিয়েছেন দেশের উন্নয়নের এই সময়ে দেশ থেকে নেওয়ারও সময়। আর সে লক্ষ্যেই আয়োজিত হচ্ছে এই সামিট। দেশের উন্নয়নের অংশীদার হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে কেউই চায় না সেখানে যখন মা সদৃশ মাতৃভূমির মাটি ও মানুষ আহবান করে এই দেশের আলো ও বাতাসে বেড়ে উঠার খণ শোধ করার জন্য তখন সকল প্রবাসীর চোখই অশ্রসজল হয়ে উঠে আর সে লক্ষ্যেই তারা দেশকে দিতে চায় তাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে। কিন্তু সবার পক্ষে নিরাপদ বিনিয়োগ ও উপযোগী সুযোগ সময়সীমার মধ্যে অবলম্বন করা সম্ভব হয়না। তাই প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশীদের কষ্টার্জিত অর্থের নিরাপদ বিনিয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং দেশে রেমিট্যান্সের বিনিয়োগ ধারা চালু করতে ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট এন্ড ভিসি কমিটি’ গঠনের মাধ্যমে এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব দেন ইমপ্রুভিং ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ ত্যান্ড রোল অফ এনআরবি; গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফর ফরেইন ইনভেস্টমেন্ট আ্যান্ড হাউ এনআরবি ক্যান লেভার্জ দেম টু ইমপ্রুভ ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ইন বাংলাদেশ শীর্ষক সেশনের বক্তাগন।

উপস্থিত ছিলেন- ড. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরিটি এবং মডারেটর ছিলেন কাজী জামান। প্যানেল মেম্বার হিসেবে কথা বলেছেন  মইনুল হক সিদ্দিকী, চেয়ারম্যান, ফাইবার এট হোম লিমিটেড, ড. সেলিয়া শাহনাজ, প্রফেসর, ডিপার্টমেন্ট অফ ইইই, বুয়েট,  শাহেদুজ্জামান, প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ বিজনেস চেস্বার অফ সিঙ্গাপুর, সুলতানা আফরোজ, সাবেক সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, বাংলাদেশ সরকার, জারা মাহবুব, প্রধান নির্বাহী, ডান এন্ড ব্রাডস্ট্রিট ডাটা এনালিটিকস প্রাইভেট লিমিটেড এবং ড. গোলাম এম মাথবর প্রমুখ। এতে ভেঞ্তার ক্যাপিটালের মাধ্যমে দেশের মধ্যকার সম্ভাবনাময় খাতসমূহে বিনিয়োগ করার বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হবে যাতে প্রবাসীদের রেমিটেল বিনিয়োগ দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার সুযোগ পাবে। পৃথিবীর সকল দেশে অবস্থিত বাংলাদেশীদের কল্যাণে এনআরবি প্রফেশনালস সামিট-২০২২ এই বিনিয়োগের দ্বার উন্মোচন ও নিরাপদ বিনিয়োগ নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও আইসিটি ও স্বাস্থ্যখাত সংক্রান্ত বিশেষ সেশন আয়োজিত হয় যেখানে উপস্থিত ছিলেন-মোহাম্মদ জামান, লিডার সলিউশনস আর্কিটেকচার, স্টার্ট আপ বাংলাদেশ, ড. শাহজাহান মাহমুদ, চেয়ারম্যান অব বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড, ইমরান ফাহাদ, ফাউন্ডার এন্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইনস্পায়ারিং বাংলাদেশ, কাউসার জামাল, ফাউন্ডার চেয়ারম্যান এন্ড সিইও, এসেন্ড গ্রুপ অব কোম্পানীজ, ইজি হোসাইন, ডিরেক্টর অব ইঞ্জিনিয়ারিং ইনটেল কর্পোরেশন, শারফুল আলাম, সিইও অফ ফেলিসিটি আইডিসি লিমিটেড,  ইমরান আমিন, স্পেকট্রাম প্লানিং ইঞ্জিনিয়ার, অস্ট্রেলিয়ান কমিউনিকেশনস এন্ড মিডিয়া অথোরিট, খন্দকার এ মামুন, পিএইচডি, ফাউন্দার এন্ড সিইও সিএমইডি হেলথ, বাংলাদেশ এং শ্রীতি চক্রবর্তী, চেয়ারম্যান, ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সামিটের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক রাষ্ট্রদূত  ফারুক সোবহান।

সামিটের শেষপর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী  ইমরান আহমেদ এমপি । তিনি তাঁর বক্তব্যে প্রবাসীদের দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং দেশের কল্যাণে প্রবাসীদের অবদানকে স্মরণ করে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। দিনশেষে বাংলাদেশের সাথে প্রবাসীদের একটি সুসম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সবাই।

This post has already been read 2347 times!

Check Also

দি ভেট এক্সিকিউটিভ এর পক্ষ থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন

এগ্রিনিউজ২৪.কম : গত (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে নব গঠিত The Vet Executive এর কার্যকরী কমিটির পক্ষ …