কৃষিবিদ মো: আব্দুল্লাহ-হিল-কাফি : পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে উচ্চফলনশীল বারি-৫ জাতের পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ সারা দেশে দ্রুত বাড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশণা অনুসারে প্রতি ইঞ্চি মাটির সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া তিনি বলেন কৃষকরা মাঠে আছে বলেই দেশে কোন দুর্ভিক্ষ হবার সম্ভবনা নেই। কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন।
বৃহঃবার (১২ জানুয়ারি) রাজশাহীর পবা উপজেলার নামোপাড়া গ্রামে ২০২২-২৩ সনের প্রনোদনা কর্মসূচীর আওতায় গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারন) রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া এসব কথা বলেন।এর আগে অতিরিক্ত কৃষি সচিব রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে ২০২২-২৩ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের বাস্তবায়িত কার্যক্রম পর্যালোচনা শীর্ষক “আঞ্চলিক কর্মশালা” অংশগ্রহণ করেন।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: শামসুল ওয়াদুদ এবং বীজ প্রত্যয়ন এজন্সীর আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ মো: শামীম আশরাফ। অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. এস. এম. হাসানুজ্জামান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
প্রধান অতিখি পরিমিত সারের ব্যবহার, সমলয় চাষাবাদ, শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধির জন্য প্রচলিত জাত পরিবর্তন করে উন্নত জাত প্রতিস্থাপন, উচ্চমূল্যের ফসল আবাদ এবং সহজে কৃষি ঋন প্রাপ্তি বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
কর্মশালায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্র, হর্টিকালচার সেন্টার, কৃষি তথ্য সার্ভিস, ধান গবেষণা, এসআরডিআই, ফল গবেষণা, গম ও ভুট্টা গবেষণা, বিএডিসি, বিএমডিএ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গসহ প্রায় একশত জন উপস্থিত ছিলেন।