এগ্রিনিউজ২৪.কম : আগামী সোমবার (২৩ জানুয়ারি), রাজধানীর কাওরান বাজারের টিসিবি ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন (BPIA) এর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে “সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ”শ্লোগান বাস্তবায়নের অঙ্গীকার মোট ১২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে পোল্ট্রি শিল্প সুরক্ষা (ব্যালট নং ২০ থেকে ৩৮) প্যানেল প্রার্থী লিস্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন । উক্ত প্যানেলের নির্বাচনী ইশতেহার নিম্নে দেয়া হলো:
১. অত্র সংগঠনের নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি থানা, জেলা এবং বিভাগে একটি করে পোল্ট্রি শিল্প সুরক্ষা কমিটি গঠন করা হবে, এবং প্রতি বৎসর বার্ষিক সাধারণ সভা (AGMÑ এর মাধ্যমে সর্বস্তরের পোল্ট্রি পেশাজিবীদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রতি মাসে নির্বাহী সদস্যগণ বা ইসি কমিটির মাধ্যমে সর্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা এবং সে মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
২. BPIA এর নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি দুই বৎসর অন্তর অন্তর নির্বাচন নিশ্চিত করা। ছয় মাস অন্তর অন্তর EGM এর মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও ব্যবস্থা গ্রহন করা। যা ইতিপূর্বে BPIA কোন দিন হয় নাই।
৩. কৃষি প্রধান দেশ হিসাবে ধান উৎপাদনে সারের উপর যেমন ভর্তুকি প্রদান করা হয়, তেমনই পোল্ট্রিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন খাদ্য উপকরণ এবং বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির ক্যাপিটাল মেশিনারীজ স্থাপনের ক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সাথে যৌক্তিক আলোচনার ভিত্তিতে ভর্তুকির ব্যবস্থা করা।
৪. মুরগীর মাংস ও ডিম বাজারজাতকরণে সঠিক ব্যবস্থাপনা বা নীতিমালা তৈরি ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্থবায়ন। প্রয়োজনে সরকারী কোল্ড ষ্টোরেজ এর ব্যবহারের মাধ্যমে ডিম ও মাংস সংরক্ষণ করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা।
৫. পোল্ট্রি খামারিদের সহজ শর্তে এবং নাম মাত্র সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের Policy Development করণে অগ্রণী ভূমিকা রাখা।
৬. যেহেতু ব্রিডার ফার্ম বা ফিড মিলারগণ ২০% বিদ্যুৎ বিলের রিবেট পেয়ে থাকেন, সেহেতু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার মাধ্যমে ছোট খামারীদের ক্ষেত্রেও ন্যূনতম ৩০% থেকে ৫০% বিদ্যুৎ বিলের রিবেট সুবিধার ব্যবস্থা করা। একই সাথে ট্যাক্স সুবিধাগুলি ছোট খামারীদের জন্য উন্মুক্ত করা।
৭. স্বল্প সুদের অর্থ ব্যবহার করে দেশে ভূট্টা ও সয়া সিডের উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে খাদ্যের দাম কমিয়ে আনা এবং ফিডে ব্যবহৃত কাচাঁমালের আমদানি নির্ভরতা কমানো। এবং প্রান্তিক খামারীদেরকে সাসটেইনাবল ব্যবসা পরিচালনায় নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহন করা।
৮. প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রান্তিক খামারীদের আধুনিক প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করা এবং প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করা।
৯. মধ্য স্বত্বভোগীদের দৌরাত্ব কমাতে খামারীদের জন্য সকল প্রকার তথ্য সহজে উপলব্ধ করা।
১০. বাজারের অসম প্রতিযোগিতা কমিয়ে আনার লক্ষে এলাকা ভিত্তিক ছোট ছ্টো খামারীদের সংঘবদ্ধ হতে সার্বিক সহযোগীতা প্রদান।
১১. অন্য সেক্টরের লোকজন যাতে BPIA এর Member হওয়ার মাধ্যমে পোল্ট্রি Related Item এর H. S Code ব্যবহার করে অন্য Product বা Equipment আনতে না পারে তার জন্য কঠোর নিয়মাবলী প্রণয়ন করা।
১২. ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার দ্বারা ডিম ও মুরগীর মাংসের মাধ্যমে নিরাপদ প্রোটিন গ্রহণে ভোক্তা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা।
উপরে উল্লেখিত বিষয়াদি ছারাও পোল্ট্রি উৎপাদনে সহায়ক অনেক নতুন নতুন আইডিয়া ও নীতিমালা নিয়ে কাজ করার প্রত্যয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, বলে জানিয়েছে পোল্ট্রি শিল্প সুরক্ষা প্যানেল।
পোল্ট্রি শিল্প সুরক্ষা (ব্যালট নং- ২০ থেকে ৩৮) প্যানেলে ভোট দিন আপনার ব্যবসাকে সুরক্ষিত রাখুন