নিজস্ব প্রতিবেদক: আমিও কিন্তু আপনাদের মতো খামারি। শখে শখে কীভাবে যেন আমিও খামারি হয়ে গেছি। আমার খামারে পোলট্রি, গরু, ছাগল, ভেড়া থেকে শুরু করে সবকিছুই পালন করা হয়। পোলট্রি শিল্পের আজকে এই অবস্থান একদিনে হয়নি। অনেক সমস্যা ও প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে পোলট্রি শিল্প আজ এ পর্যায়ে এসেছে। পোল্ট্রি শিল্পের প্রধান সমস্যা দাম ধরে রাখতে না পারা।
‘নিরাপদ প্রোটিন-সুস্বাস্থ্যের সোপান’ প্রতিপাদ্যে রাজধানী ঢাকার শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) পোল্ট্রি কনভেনশন ২০২৩ এর উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পিঁয়াজ পচনশীল দ্রব্য হলেও প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে ৪০-৪৫ দিন রাখা যায় সেটি আবিষ্কার হয়েছে। একইভাবে আপনাদের নিজেদেরকেই ডিম সংরক্ষণ ও রক্ষনাবেক্ষনে এগিয়ে আসতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের রাতে বা দুপুরে মাংস বা ডিম না পেলে চলে না। আমরা প্রায় ১৭ কোটি মানুষ এবং আমাদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে মাংস ও ডিমে এই চাহিদার সাথেই তাল মিলিয়ে পোল্ট্রি শিল্প বেড়ে উঠেছে। আমাদের প্রধান শিল্প যে গার্মেন্টস তার কর্মীরাও পোল্ট্রি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “পোল্ট্রি নয় আমরা গবাদিপশুতেও এগিয়ে আছি। আমি যত বারই ভারতে সফর করি সেখানকার সরকার বলেন তোমাদেরকে গরু দিব না। আমি বলি আপনারা গরু দেওয়া বন্ধ করে দিলেই বরং আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। আমরা গবাদিপশুতে প্রায় স্ব-নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছি। আপনারা বন্ধ করলেই পুরোপুরি হয়ে যাবো।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জনগণ সবসময়ই উদ্যোমী। মানুষ বাড়ছে জ্যামিতিকভাবে, আর খাদ্য বাড়ছে গানিতিকভাবে। এই কারণে ১৫-২০ বছরের মধ্যে ব্যাপক গ্যাপ হয়েছে। কৃষিবিদরা অগ্রনি ভূমিকা না রাখলে একটা হাহাকার পরিস্থিতির সৃষ্টি হত। আমাদের যতটুকু সম্পদ তার পুরোপুরিই চাষাবাদে ব্যাবহৃত করতে হবে। পোল্ট্রি খাদ্যের মূল উপাদান ভূট্টা ও গম যা ২০-২৫ বছর আগেও চাষ হতো না। এখন প্রচুর পরিমানে এগুলো চাষ হচ্ছে। “