নিজস্ব প্রতিবেদক : বাণিজ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। জাপানের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন সহযোগি জাপান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেক গুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। জাপানও এখানে বিনিয়োগ করেছে। জাপানের কাছ থেকে আরও বড় ধরনের বিনিয়োগ আশা করে বাংলাদেশ। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবে, তখন বিভিন্ন দেশ থেকে বাণিজ্য সুবিধা পেতে পিটিএ বা এফটিএ এর মত বাণিজ্য চুক্তি করার জন্য আমরা কাজ করছি। তখন বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিস্ট বিষয়ে জাপানের সাথে আলাপ-আলোচনা ও দক্ষ ন্যাগোসিয়েশনের সুবিধার্থে একটি জয়েন্ট স্টার্ডি গ্রুপ কাজ করার জন্য প্রস্তুত। এলডিসি গ্রাজুয়েশনরে পর এফটিএ বা পিটিএ এর মত বাণিজ্য সহযোগিতা চুক্তি করে উভয় দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিযোগ বৃদ্ধিরে জন্য কাজ করা হবে। জাপান ইতোমধ্যে এ বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছে, সে মোতাবেক কাজ চলছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণ সফর বিনিময় করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত সহজ হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী রবিবার (২৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তাঁর অফিস রুমে ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি (ওডঅগঅ করসরহড়ৎর) এর সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, জাপান সরকার বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে অধিক গুরত্ব দিয়ে থাকে। আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর জাপান বাংলাদেশের পাশে থাকবে। জাপানের অনেক বিনিয়োগ আছেন এখানে, বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী জাপান। জাপান বাংলাদেশ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট(ইপিএ) স্বাক্ষরের জন্য করনীয় ঠিক করতে সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিশেষদের নিয়ে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করছে জাপান। বাংলাদেশও একই ধরনের দক্ষ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গ্রুপ গঠন করলে কাজ অনেক সহজ হবে। এতে দক্ষ এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রতিনিধি থাকবে। যাতে করে সঠিক ভাবে এবিষয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সঠিক সময়েই এলডিসি গ্রাজুয়েশন পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি শুরু করেছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানের সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণের সাথে মতবিনিময় করেন। এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন বাণিজ্য সংগঠনকে লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।