শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

ধান উৎপাদনে যান্ত্রিকীকরণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে -কৃষি সচিব

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

গাজীপুর সংবাদদাতা: কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন “ধান উৎপাদনে যান্ত্রিকীকরণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। ধান আমাদের প্রধান খাদ্য এবং খাদ্য নিরাপত্তা বলতে আমরা ধান বা চালের নিরাপত্তাকেই বুঝি। তাই ধান উৎপাদনে ব্রি কৃষিযন্ত্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে যান্ত্রিকীকরণ প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে চলমান “যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধিকরণ (এসএফএমআরএ)” শীর্ষক প্রকল্পের মধ্যবর্তী কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আউশের আবাদ ও উৎপাদন বাড়ানোর উপরও গুরুত্বারোপ করেন।

গাজীপুরে ব্রি সদর দপ্তরের প্রশিক্ষণ ভবনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত এই কর্মশালাটি আয়োজন করে ব্রির খামার যন্ত্রপাতি ও ফলনোত্তর প্রযুক্তি বিভাগ। ব্রির মাননীয় মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর কর্মশালায় সভাপতিত্ত্ব করেন। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা অনুবিভাগ) মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশ্রী বডুয়া, ব্রির পরিচালক (গবেষণা) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা সমন্বয়কারী ড. মুন্নুজান খানমসহ ব্রির সকল বিভাগীয় প্রধান ও জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানীগণ। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসএফএমআরএ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম।

মূল প্রবন্ধে ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় এখন পর্যন্ত চারটি কৃষিযন্ত্র যেমন- ব্রি বীজ বপন যন্ত্র, ব্রি হোল ফিড কম্বাইন হারভেস্টার, ব্রি সোলার লাইট ট্র্যাপ ও ব্রি দড়ি পাকানোর যন্ত্র উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ  করা হয়েছে। এছাড়া ব্রি ম্যানুয়াল রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, পাওয়ার উইডারসহ আরো প্রায় ৮টি যন্ত্রপাতি তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় উদ্ভাবিত ও উন্নয়নকৃত যন্ত্রপাতির কার্যক্রম বিস্তারিত তুলে ধরেন। এসএফএমআরএ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে দেশের সাতটি বিভাগের ১২টি জেলার ১২টি উপজেলায় এ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এবং এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের মেয়াদ ০১ জুলাই ২০১৯ হতে ৩০ জুন ২০২৪।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া বলেন, পৃথিবীর প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে ব্যবহারিক দিককে গুরুত্ব দিয়ে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করতে হবে। আমদানী নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজের যে বিশাল বাজার তা নিজেরাই ব্যবহার করতে হবে। তাহলে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক, দেশীয় উদ্যোক্তা ও ব্যবহারকারী কৃষক সকলেই লাভবান হবেন।

সভাপতির বক্তব্যে ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর এসএফএমআরএ প্রকল্পের কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এই প্রকল্পের সুফল কৃষকের দৌড়গোড়ায় পৌছে দিতে পারলে আগামীতে কৃষি যান্ত্রিকীকরণে বিপ্লব ঘটবে। তিনি বলেন, এসএফএমআরএ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো টেকসই ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে লাগসই কৃষি যন্ত্রপাতি উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য খামার যন্ত্রপাতি গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ।

This post has already been read 1986 times!

Check Also

বারি ও সুপ্রিম সীড কোম্পানি লি: এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

গাজীপুর সংবাদদাতা: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং সুপ্রিম সীড কোম্পানি লিমিটেড এর মধ্যে এক …