এগ্রিনিউজ২৪.কম: নেদারল্যান্ডের অন্যতম বৃহৎ বীজ আলু কোম্পানি স্কেপ হল্যান্ড থেকে চলতি বছরে এসিআই রপ্তানিযোগ্য ও শিল্পে ব্যবহার উপযোগি বীজ আলুর জাত ভ্যালেনসিয়া আমদানি করে সারা দেশে বাজারজাত করেছে। বর্তমানে জয়পুরহাট, রংপুর, রাজশাহী, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, দিনাজপুর সহ প্রায় সারাদেশে কৃষকের মাঠে অত্যান্ত সন্তোষজনক ফলাফল দিয়েছে যা দেশে জাতটির প্রতি আলু চাষিদেরকে অনেকবেশি আশাবাদি করে তুলেছে।
ভ্যালেনসিয়া আলুর সাফল্যের কথা শুনে নেদারল্যান্ডে থেকে মি লিওন হানস্ট্রা, ইন্টারন্যাশেনাল একাউন্ট ম্যানেজার বাংলাদেশে সফরে এসে কুমিল্লা ও মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভ্যালেনসিয়া আলুর মাঠ পরিদর্শন করেন। মাঠ পরিদর্শনের সময় কৃষক, বীজ ডিলার, রিটেইলার সাথে ভ্যালেনসিয়া জাতটির ফলন এবং বিভিন্ন গুনাগুন নিয়ে কথা বলেন।
ফলন পরীক্ষা করে দেখা গেছে সারা দেশে এসিআই ভ্যালেনসিয়ার হেক্টর প্রতি গড় ফলন প্রায় ৪০ টন যা সমজাতীয় জাতগুলো থেকে প্রায় ৩৭ ভাগ বেশি। জাতটি ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে বিক্রয় উপযোগি হয় যা সর্বোচ্ছ ৮৫ দিন পর্যন্ত রাখা যায়। তবে আশার দিক হচ্ছে মাত্র ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে হেক্টর প্রতি প্রায় ৩১ মেটন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম যা আগাম উত্তোলন করে বিক্রি করে চাষীরা অধিক মুনাফা নিশ্চিত করছেন। ফলে, এটি কৃষকের কাছে দিনে দিনে জনপ্রিয় জাতে পরিনত হচ্ছে। এছাড়াও জাতটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় প্রায় ৯০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষন করা যায়।
জাতটিতে শুষ্ক পদার্থের পরিমান প্রায় ২২.৫% এর উপরে এবং তেল শোষন ক্ষমতা প্রায় ৩% এর নিচে হওয়ায় এটি সুস্বাদু ফ্রেন্স ফ্রাই তৈরির জন্য অত্যান্ত উপযোগি একটি জাত।
আমাদের দেশে সাদা স্কিন কালার আলুতে একটি সাধারন রোগ হচ্ছে স্কেব এতে করে চাষীরা প্রায় ২০-৩০ ভাগ পর্যন্ত ফলন নষ্ট করেন। ভ্যালেনসিয়া জাতটি স্কেব রোগ সহনশীল হওয়ায় চাষীরা সহজে এই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
সর্বোপরি ভ্যালেনসিয়া জাতটি একদিকে অধিক উৎপাদনশীল, রোগ প্রতিরোধি ক্ষমতা সম্পন্ন অন্যদিকে রপ্তানিযোগ্য শিল্পে ব্যবহার উপযোগি হওয়ায় ভ্যালেনসিয়া জাতটি খুব অল্পসময়ে সারাদেশে আলু চাষীদের নজর কেড়েছে।