নিজস্ব প্রতিবেদক: এটি শুধুমাত্র ইফতার মাহফিল নয়, এটি একটি মিলনমেলা। আমরা এই মিলনমেলায় সবাই যেমন একত্রিত হয়েছি, ঠিক তেমনি সবাই সবার পাশে একত্রে থাকার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি। সেজন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেটেরিনারি, এনিম্যাল অ্যান্ড বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদ অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর নীতিমালা অনুমোদন দেয়াটা অত্যন্ত জরুরি। অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকবৃন্দসহ যে কোন প্রয়োজনে আমরা একে অপরের পাশে থাকতে চাই। কারণ, এটি একইসঙ্গে আমাদের স্মৃতি ও আবেগের জায়গা। আমরা আজকে সত্যিই খুব আনন্দিত যে সবাই একত্রিত হতে পেরেছি। আমরা একটি পরিবারের মতো একত্রিত হয়ে এর কার্যক্রম আরো ব্যাপক ও বিস্তৃত করতে চাই।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল হাজবেন্ড্রী অ্যালামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘ইফতার মাহফিল ২০২৩’ এ উপস্থিত সাবেক শিক্ষার্থীগণ এসব কথা বলেন। (রবিবার, ১৬ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরাস্থ গ্রেট ইটারি রেস্টুরেন্টে উক্ত ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ডা. মো. রফিজুল হক সিদ্দিক (সোহেল) এর সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া। বিশ্ববিদ্যালয়টির ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল হাজবেন্ড্রী বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীগণের উপস্থিতিতে ইফতার মাহফিলে মিলনমেলার আমেজ বিরাজ করছিল।
প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই খুব শীঘ্রই অনুমোদন দেয়া হবে। নীতিমালায় ভুল শুদ্ধ যাই থাকুক এটিকে আমি অনুমোদন দিবো; দরকার হলে প্রয়োজনীয় সংযোজন বিয়োজন আস্তে আস্তে সম্পাদনা করা হবে। অ্যালামনাই বিষয়টি আমাদের সত্যিই একটি গর্বের জায়গা। দেশ-বিদেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যালামনাই এসোসিয়েশন থাকে এবং সেটির মাধ্যমে শুধুামাত্র গেট টুগেদারই নয়, বিভিন্ন সমস্যা ও প্রয়োজনে একে অপরের পাশে থাকে। তাই এটিকে আমি দ্রুতই অনুমোদন দিবো।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ডা. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার শাজাহান, ডা. কাজী আবু সাঈদ, ডা. সৈয়দ মোস্তফা আলী শামীম, ডা. নিশাত জামান, ডা. এসএম বায়েজিদ হোসেন, ডা. এনাম আহমদ কমল, ডা. রাশেদুল জাকির, ডা. বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস ছাড়াও ইফতার মাহফিলের পূর্বে ও পরে উপস্থিত সাবেক শিক্ষার্থীগণ বক্তব্যের মাধ্যমে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।