নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): ঝালকাঠির নলছিটিতে প্রিমিয়াম কোয়ালিটি বিনাধান-২৫ সম্প্রসারণ বিষয়ক মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। (বৃহস্পতিবার, ০৪ মে) উপজেলার দপদপিয়া বিনা এবং উপজেলা কৃষি অফিসের যৌথ উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান, ডিএই ঝালকাঠির উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম, ডিএই বরিশালের উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান, বিনাধান-২৫’র উদ্ভাবক ও বিনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সাকিনা খানম এবং নলছিটির উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিনা বরিশালের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. ছয়েমা খাতুন, উপজেলা কৃষি অফিসার সানজিদ আরা শাওন, বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সামিউল হক সৈকত, কৃষক রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, বিনাধান-২৫ ধানের একটি নতুন জাত। এর চালের আকার বেশ চিকন এবং লম্বা। তাই মানুষের চাহিদা এবং সেসাথে বাজারমূল্যও ভালো হবে। সে হিসেবে এটি হতে পারে বাসমতি চালের বিকল্প পণ্য। এর ফলন বেশি। রোগ-ব্যাধি কম হয়। যেহেতু কৃষকদেরকে লাভবান করাই আমাদের লক্ষ্য, সেজন্য ধানআবাদে এ জাতটি ব্যবহার করে তাদের আয় বাড়ানো সম্ভব হবে। তাই এর বীজ কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। পরে প্রধান অতিথি বাকেরগঞ্জে বিনা কৃষি প্রযুক্তি পল্লী উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রদর্শনীপ্লটে বিনাধান-২৫’র ফলন হয়েছে হেক্টরপ্রতি ৭.৬২ মেট্টিক টন। চলতি বছরে বরিশাল বিভাগের ৩৫ বিঘাসহ সারাদেশে ৩৯৬ বিঘা জমিতে এ জাতের ধান চাষ হয়েছে। এবারের উৎপাদিত বীজ সংরক্ষণ করে আগামী বছরে ব্যাপক আকারে চাষাবাদ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেন।