শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কম্বাইন হারভেস্টারে ধান কর্তনের শুভ উদ্বোধন

রাজশাহী সংবাদদাতা : ১৫ মে (সোমবার) রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার লালাদিঘী মাঠে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রবি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ব্লক প্রদর্শনীর মাধ্যমে হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের সমলয় চাষাবাদ (synchronize cultivation) এর  কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভা ও কম্বাইন হারভেস্টারের মাধমে ধান কর্তনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  অতিরিক্ত পরিচালক  কৃষিবিদ শামছুল ওয়াদুদ এবং রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  উপপরিচালক  কৃষিবিদ মোজদার হোসেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্জয় কুমার মহন্ত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মরিয়ম আহমেদ ।

প্রধান অতিথি বলেন, কৃষি হতে হবে যান্ত্রিক, বাণিজ্যিক ও লাভজনক। তিনি বলেন কৃষি শ্রমিক সংকট দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেজন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এখন সময়ের দাবি। তিনি সমবায় কৃষি এবং আধুনিক কৃষি পদ্ধতি গ্রহণে সকলকে আহবান জানান।

আমাদের দেশে এখন ফসল কাটার সময় শ্রমিক সংকট এখন বাংলাদেশে প্রতি বছরের সমস্যা। তবে, এর একটা সমাধান হতে পারে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ। কেননা আধুনিক কৃষি যন্ত্রগুলো অল্প সময়ে অনেক বেশি কাজ করে। এগুলো চালাতে জনবলও লাগে কম। কিন্তু যান্ত্রিকীকরণের জন্য দরকার বড় আয়তনের জমি, যৌথ খামার বা সমবায়ী কৃষিব্যবস্থা। উত্তরাধিকার বিভাজনসহ নানা কারণে আমাদের দেশের জমিগুলো ছোট ছোট। তাছাড়া কৃষি যান্ত্রিকীকরণের আরেকটি অন্তরায় হলো সকল কৃষক একই সময়ে চাষাবাদ করেন না। বর্তমান সরকার কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে টেকসই যান্ত্রিকীকরণের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে; যার একটি হচ্ছে সমবায়ভিত্তিক সমলয় চাষাবাদ পদ্ধতি। যেখানে একটি মাঠে বা মাঠের একটি অংশের কৃষক সবাই মিলে একসঙ্গে একই জাতের ধান একই সময়ে যন্ত্রের মাধ্যমে রোপণ করবেন। এ পদ্ধতিতে বীজতলা থেকে চারা তোলা, চারা রোপণ ও ধান কাটা সব প্রক্রিয়া যন্ত্রের সাহায্যে সমসময় সম্পাদন করা হবে। যন্ত্র ব্যবহার করলে ধানের চারা রোপণ খরচ প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে তিনভাগের একভাগ আর একইভাবে কম্বাইন্ড হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটলে তা হবে প্রায় পাঁচ ভাগের একভাগ।

অনুষ্ঠানের শেষে প্রধান অতিথি বাজারে নিরাপদ সবজি পরিবহনের জন্য কৃষকদের মাঝে ভ্যান ও ক্যারেট প্রদান করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রতিনিধি এবং কৃষক- কৃষাণীসহ প্রায় ২০০ জন অংশগ্রহণ করেন।

This post has already been read 1839 times!

Check Also

মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতি ও সুষম সার ব্যবহার বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

পাবনা সংবাদদাতা: পাবনা’র ভাঙ্গুড়া উপজেলায় মৃত্তিকা সম্পদের যৌক্তিক ও লাভজনক ব্যবহার, মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ পদ্ধতি …