বৃহস্পতিবার , ডিসেম্বর ১৯ ২০২৪

প্লাস্টিক দূষণ রোধে সার্কুলার ইকোনমি চালু করতে যাচ্ছে সরকার -পরিবেশমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবদেক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্লাস্টিক দূষণ রোধে সার্কুলার ইকোনমি পদ্ধতি এবং উৎপাদনকারীর সম্প্রসারিত দায়িত্ব (ইপিআর) বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়া  হয়েছে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত  মাল্টিসেকটোরাল একশন প্লানে চারটি টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য টার্গেটসমূহ পর্যায়ক্রমে ২০৩০ সনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া, প্লাস্টিক দূষণরোধে বিজনেস মডেল প্রণয়ন করার চেষ্টা চলমান আছে। এর পাশাপাশি ভোক্তাদের আচরণগত পরিবর্তন বিষয়ে একটি পৃথক স্টাডি করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’ শ্লোগানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস, ২০২৩ উপলক্ষ্যে ‘এডোপ্টিং সার্কুলার ইকোনমি ফর সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ ‘ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন,  কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১ এর আওতায় গঠিত জাতীয় কমিটি প্লাস্টিক দূষণ রোধসহ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মপরিকল্পনা ও বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করবে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিচ্ছন্নতা তথা পরিবেশ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের জন্য স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলকভাবে প্রতি বৎসর প্রশংসনীয় বা অনুকরণীয় কাজের স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টি বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে কঠিন বর্জ্যসহ প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। এছাড়াও, স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট শক্তিশালী এবং এ সংক্রান্ত আইন, বিধির প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে। প্লাস্টিক দূষণ রোধে সমন্বিত উদ্যোগ অপরিহার্য। তাই, সকলের সহযোগিতা নিয়ে প্লাস্টিক দূষণ রোধ করা সম্ভব হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ এর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউনিডোর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেনটিটিভ ডক্টর জাকিউজজামান এবং ইউনিডোর রিজিওনাল প্রধান ডক্টর রেনে ভেন বারকেল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ এর চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ এবং জিআইজেড ইন্ডিয়া এর ওয়েস্ট কনসালটেন্ট কার্তিক কাপুর।

সেমিনারে সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্লাস্টিক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্রান্ডের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

This post has already been read 2259 times!

Check Also

পরিবেশ সুরক্ষা ও পানি সাশ্রয়ে এডব্লিউডি সেচ পদ্ধতি

ড. এম আব্দুল মোমিন: ধান বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য। আউশ, আমন  বোরো মৌসুমে আমাদের দেশে ধান …