নিজস্ব প্রতিবেদক: মাছের বহুমুখী ব্যবহার ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ মরেজাউল করিম। গতকাল মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ, ২০২৩ এর মূল্যায়ন ও সমাপনী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের মৎস্য খাতের উন্নয়নে সামনে আরও অনেক কাজ করতে হবে। মাছের বহুমুখী ব্যবহারের দিকে আমাদের গুরুত্ব দিতে, প্রক্রিয়াজাকরণে গুরুত্ব দিতে হবে। মাছ থেকে অনেক কিছু তৈরি করা সম্ভব। মাছ থেকে ‘রেডি টুকুক’, ‘রেডি টু ইট’-সহ নানা পণ্য তৈরি করতে হবে। শিশুসহ পরিবারের অনেকেই এখন সরাসরি রান্না মাছ খেতে চায় না। মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে অনেকেই মাছ খেতে পারবে। এ জায়গায় আমাদের ক্রমান্বয়ে গুরুত্বদিতে হবে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ, ২০২৩ উদযাপন সম্পর্কিত উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক অলক কুমার সাহা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দেশের অগ্রগতির জন্য মৎস্য খাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা ও সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের মৎস্য খাতের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। তাঁর প্রত্যক্ষ সহায়তা, পৃষ্ঠপোষকতা ও পরামর্শ না থাকলে মৎস্য খাতে আজ যে উন্নয়ন হয়েছে, এটা সম্ভব হতো না। মৎস্য খাতের উন্নয়ন ধরে রাখতে না পারলে দেশে নানারকম সমস্যা তৈরি হবে। বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি করা, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করা, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, জাতীয় অর্থনীতির অগ্রগতি সংকটে পড়বে। মৎস্য খাতে সম্পৃক্ত প্রায় ২ কোটি মানুষ নানা সমস্যায় পড়বেন। এ কারণে দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে কাজ করার বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, দেশব্যাপী ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় এবারের মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন হয়েছে। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপনের লক্ষ্য মানুষকে মৎস্য খাতে খাতে উদ্দীপ্ত করা, অনুপ্রাণিত করা, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় জনগণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করা। এটি এ বছর সফলভাবে করা সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা ও তাঁরপরিবারের সদস্যদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে এ বছর ২৪ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত জাতীয়মৎস্য সপ্তাহ, ২০২৩ উদযাপন করা হয়।