শুক্রবার , নভেম্বর ২২ ২০২৪

পাবনায় কৃষক এর মৃত্যু

আব্দুল কাইউম (পাবনা) : পাবনার আতাইকুলায় নিখোঁজের দুইদিন পর সেফটি ট্যাংক থেকে আব্দুল কুদ্দুস প্রামানিক (৫০) নামের এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় সন্দেহজনক জোসনা ও সায়াম নামের এক দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশী হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) দুপুরের দিকে  সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের দড়ি শ্রীকোল গ্রামের দড়ি শ্রীকোল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খাইরুল ইসলামের সেফটি ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ৮ আগষ্ট রাতে নিখোঁজ হন কুদ্দুস প্রামানিক।

নিহত আব্দুল কুদ্দুস সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের দড়ি শ্রীকোল গ্রামের শিরহাব প্রামানিকের ছেলে। তিনি কৃষকের কাজ করতেন। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে স্থানীয় একটি চায়ের দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নিঁখোজ হন কৃষক কুদ্দুস। রাতে বাড়িতে না যাওয়ায় পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান পায়নি। পরের দিন সকালে নিখোঁজ ব্যাক্তির বাড়ির সামনে স্যান্ডেল, গামছা ও একটি রশি পাওয়া যায়। তারপর বিষয়টি নিয়ে দুবলিয়া ফাঁড়ি পুলিশকে জানানো হয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। পরে দিনব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায় না। পরে পরিবার থানায় একটি নিখোঁজের সাধারন ডায়েরি করেন। বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) সকালে দড়ি শ্রীকোল গ্রামের খাইরুল ইসলামের সেফটি ট্যাংকে মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। মরদেহের অর্ধেক পচে গলে গেছে।

নিহতের ছেলে শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা একজন নিরিহ মানুষ ছিলেন। তাকে পুর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। রুপপুর প্রকল্পের কাজে থেকে বাড়ি এসে শুনি বাবা নিখোঁজ হয়েছে।বাড়ির পাশের জোসনা ও তার স্বামী সায়াম আমার বাবাকে রাতে গামছা পেঁচিয়ে ও রশি দিয়ে বেঁধে হত্যা করে থাকতে পারে ধারণা করছি। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মুনসী বলেন, সে ছোটবেলা থেকেই অনেক ভাল মানুষ ছিলেন। কারও সঙ্গে কোন বিরোধে জড়ায়নি। আমরা তার খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি করছি।

দুবলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ  উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম  বলেন, নিখোঁজের পরে পরিবারের জিডির আলোকে মরদেহের সন্ধান পেয়েছি। হত্যা করে খাইরুল ইসলাম নামের একজনের বাড়ির সেফটি ট্যাংকে মরদেহ রাখা হয়েছে। উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হবে। পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, কিভাবে হত্যা করা হয়েছে এখনো বলা সম্ভব হচ্ছে না। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে বিষয়টি বলা যাবে। এ ঘটনা নিয়ে আমরা অধিকতর তদন্ত করছি। খুব দ্রুতই রহস্য উদঘাটন হবে। এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশী হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

This post has already been read 1856 times!

Check Also

ভেটেরিনারি ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভ্যাব) এর বিক্ষোভ সমাবেশ

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামলীগের বিদায়ের তিন মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে …